জেলেনস্কি শনিবার রোমের সিয়াম্পিনো বিমানবন্দরে একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এ সময় ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি তাকে অভ্যর্থনা জানান। তাজানি সাংবাদিকদের বলেছেন, ইতালি ইউক্রেনকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ সমর্থন করতে থাকবে এবং একটি ন্যায়সংগত শান্তির জন্য চাপ দেবে, যা ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষা করবে।
ইতালির রাজধানীতে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে জেলেনস্কি টুইট করেছেন, ‘ইউক্রেনের জয়ের কাছাকাছি আসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর!’ তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেল্লার সঙ্গে দেখা করবেন এবং পরে ভ্যাটিকান ভ্রমণ করবেন বলেও টুইটে উল্লেখ করেছেন।
পোপ ফ্রান্সিস প্রায়ই বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে ভ্যাটিকান প্রস্তুত রয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ভ্যাটিকান একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তবে মিশনটি ‘এখনো প্রকাশ্য নয়। যখন এটি সর্বজনীন হবে, আমি এটি সম্পর্কে কথা বলব।’ কিন্তু ইউক্রেন ও ভ্যাটিকানের মধ্যে সম্পর্ক কখনো কখনো অস্বস্তিকরও হয়েছে।
রাশিয়া কিয়েভসহ ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে রাতভর বিমান হামলার নতুন সিরিজ চালানোর পর এই সফরটি হচ্ছে। হামলায় দক্ষিণের শহর মিকোলাইভ এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খমেলনিটস্কিতে তিনজন আহত হয়েছে। এ ছাড়াও গুরুতর অবকাঠামোর পাশাপাশি বাড়িঘর ও সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের বাহিনী বলছে, তারা পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতের কাছে অগ্রগতি করেছে।