সরবরাহের বিপরীতে চাহিদা বাড়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলার কেনাবেচার দর ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে; যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর ডলার কেনাবেচার এ আন্তঃব্যাংক দরের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে তিন দিনে প্রধান এ বিদেশি মুদ্রার দর ৫০ পয়সা বাড়ল। গত রোববার ব্যাংকগুলো ডলার কেনাবেচা করেচিল ১০৮ টাকায়। সোমবার এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল আরও ৬ পয়সা। একদিন বাদে বাড়ল আরও ৪৪ পয়সা।
ডলারের এ দরের সঙ্গে ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে কমিশন আকারে ১০ থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত যোগ করে। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ডলারের দর আরও বাড়ে।
বৈদেশিক বাণিজ্য সামলাতে ব্যাংকগুলোর কাছে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা গত ৭ মে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। এর সপ্তাহ খানেক বাদে ডলারের দর বাড়তে শুরু করল আন্তঃব্যাংকে।
ডলারের দর বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাস্তবায়ন শুরু করে বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন (এবিবি)। তখন দেশে আসা রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ডলারের আলাদা বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়, যা এখন সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা এবং একইভাবে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে পৃথক দর নির্ধারণ করা হয়, যা এখন সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা করা হয়েছে। বাফেদা-এবিবির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের দরের পার্থক্য দুই টাকা থাকবে।
অন্যদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে বর্তমানে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে এখন বৈদেশিক মুদ্রার একক বিনিময় হার নির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।