সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন শনিবার (২০ মে) বিকাল ৪টার দিকে সিলেটের রেজিস্ট্রার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল।
দুইবারের মেয়র বলেন, বিএনপি আমার প্রাণের সংগঠন। যে সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছি, সেই সংগঠনের ক্ষতি হোক আমি এটা চাই না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের রক্তের সঙ্গে আমি বেঈমানি করতে চাই না।
আবেগতাড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচন করলে আপনারা দলে দলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিবেন। কিন্তু সেই ভোট অন্ধকারে কার কাছে যাবে সেটা আপনারা সবাই জানেন। আমি আপনাদের এই আমানত অন্ধকারে নিয়ে যেতে চাই না। এ প্রহসনের নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি আপনাদের আরিফ, আমি অন্ধকারে হারিয়ে যাব না। মেয়র থাকলেও কাজ করব, না থাকলেও করব।
শনিবার বিকালে পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশে এসেও আরিফ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে এরই মধ্যে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি মনোনয়ন কেনার আগেই আমার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যারা আমার সঙ্গ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান, ছবি দেখে তাদের গ্রপ্তার করা হচ্ছে। এসব কীসের আলামত।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৩ মে এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। ভোট হবে ২১ জুন।