পিছিয়ে পড়েও লাউতারো মার্টিনেজের দুই গোলে ফিওরেন্টিনাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জিতল ইন্টার মিলান। স্তাদিও অলিম্পিকোতে নিকোলাস গঞ্জালেজের গোলে ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ফিওরেন্টিনা। কিন্তু বিরতির আগেই দুই গোল করে সিমোনে ইনজাগির দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মার্টিনেজ।
এই নিয়ে রোমার সঙ্গে ইতালিয়ান কাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নবম শিরোপা জয় করার কৃতিত্ব দেখালো ইন্টার। ১৪ বার ইতালিয়ান কাপ জিতে এই তালিকায় তাদের উপরে আছে শুধুমাত্র জুভেন্টাস।
ম্যাচে জোড়া গোল করা মার্টিনেজ ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি সত্যিই দারুন খুশি। কারণ গত দুই বছর যাবত অসাধারণ এই ক্লাবের হয়ে আমি শিরোপা জিতে চলেছি। এভাবেই আমাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আরো একটি শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। প্রথম ১৫ মিনিট আমরা বাজে খেলেছি। কিন্তু এরপর ছন্দ ফিরে পাই।’
ছয়বারের ইতালিয়ান কাপজয়ী ফিওরেন্টিনা ২০০১ সালের পর আর কোন শিরোপা জয় করতে পারেনি। কিন্তু তাদের সামনে এখনো সুযোগ আছে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের শিরোপা জয়ের। আগামী ৭ জুন ফাইনালে প্রাগে তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট হ্যাম। এর তিনদিন পর ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে সিরি-আ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান।
রোমের ফাইনালে তিন মিনিটের মধ্যে জোনাথন ইকোনের ক্রসে গঞ্জালেজের গোলে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল ফিওরেন্টিনার। সোফিয়ান আমরাবাতের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে না গেলে তখনই হয়তো ব্যবধান দ্বিগুনও হতে পারতো। মার্টিনেজের অ্যাসিস্টে ইন্টার স্ট্রাইকার এডিন জেকো গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।
২৯ মিনিটে অবশ্য কোন ভুল করেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মার্টিনেজ। ফিওরেন্টিনা গোলরক্ষক পিয়েট্রো টেরাসিয়ানোকে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করে ইন্টারের জার্সি গায়ে শততম গোল পূরন করেন। আট মিনিট পর ডানদিক থেকে নিকোলো বারেলার পাসে নিজের দ্বিতীয় গোলের পাশাপাশি দলকেও এগিয়ে দেন মার্টিনেজ।
ফিওরেন্টিনার হয়ে বদলি নামা লুকা জোভিচ ম্যাচের শেষভাগে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। সার্বিয়ান এই স্ট্রাইকারের প্রথম সুযোগটি দারুণভাবে রুখে দেন ইন্টারের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক সামির হানডানোভিচ। এরপর তার আরো একটি সুযোগ অল্পের জন্য গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। অতিরিক্ত সময়ে গঞ্জালেজ তার দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে তার চেষ্টাটি ব্যর্থ হয়।