কোনো সংঘাত ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা চারটায়।
নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনাও ছিল বেশ। প্রার্থীরাও কেউ ভোট গ্রহণের অনিয়ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছিল। অনেক কেন্দ্রে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টও ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া।
এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।