দেশে একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে সবশেষ ওষুধ—সব বাজারই এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। বেড়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দামও। মানুষের অবস্থা হয়েছে এমন—বেশি দামের কারণে খাবার কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আবার উপোস থেকে রোগাক্রান্ত হয়ে পারছে না ওষুধ কিনতে। লাগামহীন ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে পিষ্ট দেশের সব শ্রেণি -পেশার মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো ওষুধ বিক্রিতেও গড়ে উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। ২৩৪টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধে বেড়েছে ১০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম।
ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধির জন্য কনজজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও বিধিমালা না থাকার বিষয়টিকে মূল কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। দেশে এখনো মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের একটি বড় অংশই খরচ হয় ওষুধের পেছনে। সেখানে এক লাফে এত দাম বাড়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। এভাবে ওষুধের দাম বাড়তে থাকলে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা বড় সংকটের মুখে পড়বে। আবার সরকারের তরফ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি না থাকায় নকল, ভেজাল আর নিম্নমানের ওষুধ বাজারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। ঔষধ প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযানে নামলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না বলেও মত দিয়েছেন অনেক বিশ্লেষক।
এই সংকটের উত্তরণ জরুরি। দেশের ওষুধ শিল্পসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অবাধে বেড়ে ওঠা সিন্ডিকেট চক্রের লাগাম টানা অত্যাবশ্যক। নয়তো লাগামহীন বাজারের গ্যাঁড়াকলে সরকার জনসমর্থন হারালে কিছুই করার থাকবে না।