রেমিট্যান্স আয়ে ডলারের দাম আরো ৫০ পয়সা বেড়েছে। আর রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম বেড়েছে এক টাকা। নতুন এ দাম আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
রেমিট্যান্স আয়ের ক্ষেত্রে এখন প্রতি ডলারে মিলবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। এর আগে রেমিট্যান্স আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে পাওয়া যেত ১০৮ টাকা। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে আজ থেকে প্রতি ডলারে মিলবে ১০৭ টাকা। আগে রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারে পাওয়া যেত ১০৬ টাকা।
গতকাল বুধবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। মূলত রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ অবস্থা তৈরি হয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করত বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে এতে সংকট কমার পরিবর্তে আরো বেড়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ওপর সমপ্রতি প্রকাশিত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ডলার -সংকট সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ঐতিহাসিকভাবে ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের ব্যবধান ছিল ২ শতাংশের মতো। তবে ২০২২ সালের আগস্টে এই ব্যবধান ১২ শতাংশে পৌঁছে যায়। এখন এই ব্যবধান কার্যত ১৮ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ার পর ডলারের দাম স্থিতিশীল হলেও দামের পার্থক্য খুব বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের এই ব্যবধানের কারণে রেমিট্যান্স আয় কমছে, ফলে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। সে জন্য ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দরের ব্যবধান না কমলে রেমিট্যান্স আয় বাড়বে না। এতে ডলার-সংকটও কাটবে না বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।