নতুন বাজেট উত্তাপ ছড়াচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের পর ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে মাছ-মাংস, ডিম, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। ফলে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ২০ টাকার আলুর কেজি এখন ৪৫ টাকা। পেঁয়াজের কেজি পৌঁছেছে ৯০ টাকায়। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কাঁকড়ল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাক, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং জালি কুমড়া প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, অনেক সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গেছে, তাই বাজারে সরবরাহ কম। নতুন সবজি উঠতেশুরু করলে দাম আবার কমে আসবে।
বাজারে সবজির দাম ঊর্ধ্বগতি থাকলেও কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আজ বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, তবে কিছু কিছু স্থানে এর চেয়ে কম দামেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়।
সপ্তাহের বাজার করতে আসা এনামুল কবির জানান, ‘বাজার করতে এসে প্রতিদিনই নতুন নতুন দাম শুনি। বাজেটের অজুহাতে আবারও দাম বাড়াবে বিক্রেতারা! আমাদের তো আর কিছু করার নাই, নিরুপায় হয়ে বেশি দাম দিয়েই বাজার করতে হবে।’
ডিমের মতো দাম বেড়েছে গরুর মাংসের। আজ প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। অন্যদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির একই চিত্র দেখা গেছে মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ২০০ টাকা। অন্যদিকে ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের মাছের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাশ-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। যা আগে কেনা যেত ১৮০-২০০ টাকায়।
রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে মুদি পণ্যেরও। তেল, চিনি, আটা-ময়দা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। রয়েছে কিছু পণ্যের সরবরাহ সংকটও। যেমন- প্যাকেটজাত চিনি ও ময়দা অধিকাংশ দোকানে নেই। বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও মুদি দোকানিরা বলছেন ঘাটতি আছে। দোকানে প্রতি কেজি চিনি ১৪০ টাকা ও সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।