আগামী ২০ জুলাই শুরু হবে নারী ফুটবল বিশ্বকাপের নবম আসর। ৩২ দলের অংশগ্রহণে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টটি। আসন্ন নারী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুন এক আর্থিক মডেল প্রণয়ন করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া কোনও খেলোয়াড়ই খালি হাতে ফিরবে না। প্রত্যেক খেলোয়াড় কমপক্ষে ৩০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ লাখ টাকার বেশি) পাবে। এই প্রথমবার নারী বিশ্বকাপে প্রত্যেক খেলোয়াড় অর্থ পুরস্কার পাবে। বিজয়ী দলের প্রত্যেক সদস্য পাবেন ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার করে।
ফিফা নিজেদের ওয়েবসাইটে নারী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো ও তাদের খেলোয়াড়দের অর্থ পুরস্কারের এই নতুন মডেল প্রকাশ করেছে। ফিফা জানাচ্ছে, এটি নারী ফুটবলের উন্নয়নে তাদের বড় এক পদক্ষেপ। এটি নারী ফুটবলারদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে সহায়তা করবে বলে মনে করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
চ্যাম্পিয়ন দল পাবে দেড় কোটি ডলার, যার মধ্যে সরাসরি খেলোয়াড়রা পাবেন ৬২ লাখ ডলার। বাকি অর্থ দেওয়া হবে ফেডারেশনকে, যেন তারা নারী ফুটবল কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করতে পারে।
সব মিলিয়ে ফিফা ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। এর মধ্যে পারফরম্যান্স ভিত্তিক ১১ কোটি ডলার, ক্লাব সহায়ক কর্মসূচিতে ১ কোটি ১৫ লাখ ডলার এবং প্রস্তুতি খরচ প্রায় চার কোটি ডলার।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘নারী ফুটবলে সর্বোচ্চ বেতন বছরে ১৪ হাজার মার্কিন ডলার। আমরা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে দিচ্ছি ৩০ হাজার ডলার। এটা খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার ও জীবনে অর্থবহ প্রভাব রাখবে। পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে।’