বেশ কিছুদিন ধরে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের ব্যবহার কমছে। তাই অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ হিসেবে সোনা কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে।
সম্প্রতি ইয়াহু ফাইন্যান্সের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছর রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ডলারের বাড়তি দরের কারণে বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রার ভাণ্ডারে ডলারের হিস্যা ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালে যা ছিল ৫৫ শতাংশ। অথচ ২০০০ সালে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভে ডলারের হিস্যা ছিল ৭১ শতাংশ।
বিশ শতকের গোড়া থেকেই মার্কিন ডলার বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা। সাধারণত মার্কিন অর্থনীতি খুব শক্তিশালী কিংবা খুব দুর্বল থাকলে ডলারের মূল্য বাড়ে। গত বছর মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে সোনা ও অন্যান্য মুদ্রায় রিজার্ভ রাখা শুরু করে।
এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ভিটিবির প্রধান নির্বাহী আঁদ্রেই কোস্তিন বলেন, মার্কিন ডলারের আধিপত্য শেষ হয়ে আসছে। কারণ চীনা মুদ্রা ইউয়ানের উত্থান কথা উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববাসী পশ্চিমের এই ব্যর্থ চেষ্টার ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, মার খাচ্ছে বিশ্বায়ন। তবে চীন বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির ভালো একটা দিকে এগোচ্ছে।
কোস্তিন বলেন, পশ্চিমাদের চাপে রুশ অর্থনীতি ভেঙে পড়বে না। এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের জন্য রাশিয়ার প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস শূন্য দশমিক তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ করেছে। যদিও ২০২৪ সালের জন্য পূর্বাভাস দুই দশমিক এক শতাংশ থেকে কমিয়ে এক দশমিক তিন শতাংশ করেছে।
এই শীর্ষ ব্যাংকার বলেন, নিষেধাজ্ঞা খারাপ বিষয়, সে কারণে আমাদের ভুক্তভোগী হতে হয়। যদিও আমাদের অর্থনীতি খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছে।