বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের গাড়িতে ভাঙচুর ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর নৌকার কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ অভিযোগ করেন।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া সেলের সদস্য কে এম শরিয়তুল্লাহ বলেন, ২ নং ওয়ার্ডের কাদের চৌধুরী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতপাখার কর্মীদের মারধরের অভিযোগের খবর পেয়ে প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম উপস্থিত হন। এ সময় তার গাড়িতে ভাঙচুর ও সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালায় নৌকার কর্মীরা।
এছাড়া ২ নং ওয়ার্ডের শেরেবাংলা দিবা-নৈশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
কে এম শরিয়তুল্লাহ বলেন, এসব বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা পরবর্তীতে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, সব ছাপিয়ে দেশবাসীর আগ্রহের তালিকায় সবার উপরে বরিশাল সিটি নির্বাচন। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে ১০ প্লাটুন বিজিবি, তিন সেকশন কোস্টগার্ড, র্যাবের ১৬টি টিম, পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ান আনসারের ৪৩টি টিম। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের দুই দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টার নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল। এছাড়া ভোটের দিন সীমিত থাকছে যন্ত্রচালিত যান চলাচল। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সব ধরনের মিছিলের ওপরও। সবার ভোট দেওয়ার সুবিধার্থে ভোটের এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি।