২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এ পর্যন্ত একটা মাত্র প্রীতি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। গত ২৫ মার্চ মরক্কোর বিপক্ষে সেই ম্যাচের স্মৃতিটাও ব্রাজিলিয়ানদের জন্য বড় বেদনার। বিশ্বকাপ ব্যর্থতা টেনে এনে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা যে সেই ম্যাচটাও হেরেছিল ১-২ গোলে। সেই হতাশার স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই আজ আবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামঠে নামছে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ অচেনা গিনি।
হ্যাঁ, গিনি ব্রাজিলের জন্য অচেনা প্রতিপক্ষই। কারণ, পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় এই দেশটির বিপক্ষে এর আগে কখনোই মুখোমুখি হয়নি ব্রাজিল। ব্রাজিল-গিনির মধ্যে একবার অবশ্য ফুটবল দ্বৈরথ হয়েছে। তবে সেই লড়াইটা ছিল মেয়েদের ফুটবলে। ছেলেদের ফুটবলে এই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। মজার ব্যাপার, হলো একে অপরের দুই অচেনা প্রতিপক্ষ ম্যাচটাও খেলবে অচেনা এক স্টেডিয়ামে। আজ দিবাগত রাত দেড়টায় ব্রাজিল-গিনির ম্যাচটা হবে বার্সেলোনায়, লা লিগার ক্লাব এসপানিওলের মাঠ আরসিডিই স্টেডিয়ামে, যেটি এস্তাদি কর্নেয়া-এল প্রাত স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটির পূর্ব নাম ছিল স্টেজ ফ্রন্ট স্টেডিয়াম ও পাওয়ার-৮ স্টেডিয়াম।
বিশ্বকাপের পরপরই ব্যর্থতার দায় নিয়ে ব্রাজিলের কোচের পদ থেকে সরে গেছেন তিতে। তার উত্তরসূরি হিসেবে এখনো কাউকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়নি ব্রাজিল। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন র্যামন মেনেজেস। আগে যিনি ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্বে ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে মেনেজেসের শুরুটা হয়েছে মরক্কোর কাছে হার দিয়ে। আজ নিশ্চয় সেই হতাশার স্মৃতি পেছনে ফেলে জয়ের স্বাদ পেতে চাইবেন।
কিন্তু ব্রাজিলের আসল অস্ত্রই তার হাতে নেই। চোটের কারণে নেইমার দলেই নেই। দলে নেই গ্যাব্রিয়েল জেসুসও। অভিজ্ঞদের মধ্যে আছেন কেবল পিএসজির ডিফেন্ডার মারকুইনহোস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার কাসেমিরো। নেইমার-জেসুসের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেবেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, রিচার্লিসনরা।
তাদের প্রতিপক্ষ গিনি এখনো পর্যন্ত বড় কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এমন একটা দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেঁচে নেওয়ার কারণ, ব্রাজিলিয়ানরা এই ম্যাচটা খেলতে যাচ্ছে ভিনিসিয়ুসের হয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে।