সম্প্রতি ঢাকার আশুলিয়ায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে তার শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল (২৪) নামে এক পোশাক শ্রমিককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে।
পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে রাকিবুল মারা যান।
জানা গেছে, নারী সংক্রান্ত ঘটনার জেরে ৪ বন্ধু মিলে উজ্জ্বলকে পিটিয়ে হত্যা করে। লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবুল মারা যান।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত শুক্রবার (১ জুলাই) আশুলিয়ার ভাদাইল কাঁঠালতলা এলাকার বাসা থেকে উজ্জ্বলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার বন্ধুরা। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল (২৪) বগুড়া জেলার সাড়িয়াকান্দি থানার চন্দনবাইশা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে নতুন ইপিজেডের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
নিহত রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বলের চাচাতো ভাই সজিব জানান, কিছুদিন আগে রাকিবুলের বন্ধু গোলাম রব্বানির সঙ্গে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে জুয়েল নামের অপর বন্ধুর মারামারি হয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার রাতে জুয়েল ফোন করে উজ্জ্বলকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই ওত পেতে থাকা পাঁচ-সাতজন মিলে রাকিবুলকে দেখা মাত্রই রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।