দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করতে বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে পারবে বাংলাদেশ। প্রকল্পটি ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে চলছে। আগামী ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে। রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এনইসি-২ সম্মেলনকক্ষে এডিবি ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং এডিবির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন উপপরিচালক ঝিয়াংবো নিং। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইআরডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ও প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার নতুন সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন; যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে রেলওয়ের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি; কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডরের সঙ্গে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডরকে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
এডিবি পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। সুদের হার ০ দশমিক ৫ শতাংশ, ও ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম ০ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া, অধিকরণকৃত ঋণের ওপর ০ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ প্রদান করতে হবে।
উল্লেখ্য, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্য লাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাত ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত্ বাংলাদেশ সরকারকে ২ হাজার ৮৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুত্, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।