ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্তকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সেই চুমুর বিষয়ে। জবাবে বেশ লজ্জা পেয়েই শান্ত হাসতে হাসতে বলেন, ‘এটা বলা যাবে না।’ সংবাদ সম্মেলনেও হাসির রোল উঠে। সেই হাসিতে লেগে থাকে শান্তর ব্যাটিংয়ের প্রতি মুগ্ধতা। প্রতিপক্ষের মাঠে বিরূপ কন্ডিশনে প্রচণ্ড চাপের মুখে আরেক তরুণ তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে কী অসাধারণ ব্যাটিংটাই না করলেন! কী মনোমুগ্ধকর সব শট দেখা গেল শান্তর ব্যাটে! ম্যাচ সেরার পুরস্কার তাকে না দিয়ে উপায় আছে?
পারফর্মেন্সের পাশাপাশি পাওয়া গেল শান্তর পরিণত মানসিকতার পরিচয়। ডকরেলের বলে ২ রান নেওয়ার সময় শান্ত ৯৯* রানে অপরাজিত ছিলেন। তার মানে এক রান নিলেই তার চলত। কিন্তু টার্গেট যখন ৩২০, তখন একটা রানই দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৯৯ রানে দাঁড়িয়েও শান্ত দলকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অথচ, এই শান্তই গত চার-পাঁচ বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছিল তার পরিবারের ওপর। সেই শান্ত এখন সবার নয়নের মণি।