প্রায় ১ বছর ধরে বারবার আদালতের তলব আর নেটিজেনদের সমালোচনার ভেতর কঠিন জীবন পার করছেন অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত এই নায়িকা এবার রীতিমতো তিক্ত-বিরক্ত। তারই ফলস্বরূপ কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরকের ভূমিকায় হাজির হলেন জ্যাকুলিন।
আদালতে তিনি বলেন, ‘সুকেশ আমার আবেগের সঙ্গে খে?লা করেছে। জীবনটাকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে!’
নিজের জবানন্দিতে জ্যাকুলিন জানান, পিঙ্কি ইরানি নামক এক মহিলার মাধ্যমে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। জ্যাকুলিন বলেন, ‘পিঙ্কি আমার মেকআপ আর্টিস্টকে বোঝান যে, সুকেশ একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আমলা। পাশাপাশি নিজেকে সান টিভির মালিক ও জয়ললিতার আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিল সুকেশ। বলেছিল, সে আমার অনুরাগী এবং আমার দক্ষিণী ছবিতে কাজ করা উচিত।’
জ্যাকুলিন এ সময় আরও জানান, তার সঙ্গে দিনে প্রায় ৩ বার ভিডিও কলে কথা বলতো সুকেশ। জ্যাকুলিনের ভাষায়, ‘শুরুতে আমি ওর আসল নামও জানতাম না। নিজেকে শেখর বলে পরিচয় দিয়েছিল সে। পরে ওর অপরাধমূলক কাজকর্ম জানতে পারার পর আমি নিশ্চিত হলাম ওর আসল নাম সুকেশ।’
এদিকে এই মামলায় সুকেশের ব্যক্তিগত একাধিক জিনিস ব্যবহার এবং দামী উপহার নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জ্যাকুলিন আরও বলেন, ‘কেরালায় ঘোরার জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সুকেশ। এছাড়া চেন্নাইয়ে দুইবার ওর প্রাইভেট জেট ব্যবহার করেছিলাম। আমি না বুঝেই ও ফাঁদে পা দিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ছলনা করাই ওর উদ্দেশ্য ছিল। তবে পিঙ্কি প্রথম থেকেই সুকেশের পরিকল্পনা জানতো। কিন্তু কখনও সেটা আমাকে বুঝতে দেয়নি।’
এছাড়াও আদালতের জবানবন্দিতে জ্যাকুলিন দাবি করেন ২০২১ সালের ৮ অগাস্ট শেষবার সুকেশের সঙ্গে কথা হয় তার। তারপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি সুকেশ।