কর্মসূচিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই—এটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাই যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, তা বহির্বিশ্বেরও কেউ বিশ্বাস করে না। তাই দ্রুত পদত্যাগ করুন। নইলে জনগণ ব্যবস্থা নেবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু কেউ কিছু জানে না। যিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনিও জানতেন না। এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনই প্রমাণ করে যে এই সংবিধান দিয়ে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। এ জন্য এই সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আমরা যে ২৭ দফা দিয়েছি, সেই দফার মধ্যে আমরা এই সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছি। আমরা বলেছি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে এবং সব মানুষের অংশ থাকে সেই ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাকে কিভাবে স্থায়ী করা যায়, তার চিন্তা করতে হবে।’
তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার এ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত দলগুলোও এদিন পৃথক কর্মসূচি পালন করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গোপীবাগ ওয়াক্তিয়া মসজিদের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় পদযাত্রা শুরু করে। বিশাল পদযাত্রাটি মধুমিতা সিনেমা হল, টিকাটুলী, দয়াগঞ্জ, ধোলাইখাল মোড়, রায়সাবাজার মোড় হয়ে নয়াবাজারে নবাব ইউসুফ মার্কেট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শেষ হয়।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে উত্তরার কবি জসীমউদদীন সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে আজমপুর, রবীন্দ্র সরণি, ১২ নম্বর সেক্টর সড়ক হয়ে জমজম টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এই পদযাত্রার আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশে গণতন্ত্র নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় সব দেশ আমন্ত্রণ পেলেও বাংলাদেশ পায়নি। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে—এটা জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও ছলচাতুরী করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আবদুল আউয়াল মিন্টু বক্তব্য দেন। দুই পদযাত্রায় বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, কৃষক দল, তাঁতী দল, মত্স্যজীবী দল, ছাত্রদল, জাসাসের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
আজ বিভাগীয় পর্যায়ে পদযাত্রা : ঢাকা মহানগর বাদে আজ শনিবার অন্যান্য বিভাগে বিএনপি পদযাত্রা করবে। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা নেতৃত্ব দেবেন। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।