রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি-২৭ নম্বরে অগ্নি সংযোগের এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কারও হতাহতের খবর আসেনি।
একদিন বিরতির পর আজ সকাল ছয়টা থেকে পঞ্চম ধাপে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এ আন্দোলনে শরিক দলগুলোও অংশ নিচ্ছে। এ কর্মসূচি শুরুর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীতে চারটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
২৮ অক্টোবর: বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের হামলা;
২৯ অক্টোবর: সারাদেশে হরতাল; জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন;
৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর: টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ;
৫-৬ নভেম্বর: দ্বিতীয় দফা অবরোধ;
৮-৯ নভেম্বর: তৃতীয় দফা অবরোধ;
১২-১৩ নভেম্বর: পঞ্চম দফা অবরোধ।
এর আগে রাত সাড়ে নয়টায় মিরপুর ১০ নম্বরে বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে মিরপুর-১ নম্বরের বেড়িবাঁধ এলাকায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে দলটি। পরে সেই হরতালে সমর্থন ও সংহতি জানায় জামায়াতে ইসলামী।
একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে এই দুই দল। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫-৬ নভেম্বর ও তৃতীয় দফায় ৮-৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত। পরবর্তীতে তৃতীয় দফা অবরোধের শেষদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে ১২-১৩ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয়।
একদিন বিরতির পর বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে পঞ্চম ধাপে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
প্রসঙ্গত, এসব কর্মসূচি চলাকালীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।