ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তারপর কেউই হয়তো ভাবেননি সিলেট স্ট্রাইকার্সের রান এতোদূর যাবে। তবে নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফরচুন বরিশালকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ফরচুন বরিশাল। টস জিতে মাশরাফির সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন স্ট্রাইকার্স ওপেনার শান্ত। প্রথম ওভার থেকেই ১০ রান তুলে নেন শান্ত। তবে দ্বিতীয় ওভারেই সিলেটকে বড় ধাক্কা দেয় মোহাম্মদ ওয়াসিম। ওই এক ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় সিলেট। তবে শান্তর ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ওপেনার জাকির হাসানকে শূন্যহাতেই ফেরান ওয়াসিম। পঞ্চম বলে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তৌহিদ হৃদয়কে ৪ রানে ও শেষ ডেলিভারিতে মুশফিকুর রহিমকেও খালি হাতে ফেরান ওয়াসিম।
১৫ রানে৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া সিলেটকে খেলায় ফেরানোর লড়াই করে সফল হন শান্ত ও ইংল্যান্ডের টম মুরস। পাওয়ার-প্লেতে ৪১ রান তোলে সিলেট। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ায় রানের চাকা সচল রাখেন শান্ত-মুরস। ১৩তম ওভারে দলে রান ৯০’র ঘরে নিয়ে যান তারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে দ্বিতীয়বারের মত আক্রমনে এসে শান্ত-মুরস জুটি ভাঙ্গেন সাকিব। উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন মুরস। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ বলে ৪০ রান করেন তিনি। শান্তর সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৭১ বলে ৮১ রান যোগ করেন মুরস।
দলীয় ৯৬ রানে মুরস ফেরার পরের ওভারে বাউন্ডারি দিয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় অর্ধশতকের দেখা পেতে ৪৮ বল খেলেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির পর মারমুখী হয়ে কামরুলের করা ১৮তম ওভারে ৩টি চার মারেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরাও।
শেষ ওভারে পেরেরা আউট হলেও সিলেটকে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৬৮ রান যোগ করেন শান্ত-পেরেরা জুটি। ৪ চারে ১৬ বলে ২১ রান করেন পেরেরা। ৬৬ বল খেলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় হার না মানা ৮৯ রান করে মাঠ ছাড়েন শান্ত।