আগামীকাল বুধবার (৮ মার্চ) প্রথম ম্যাচে তুর্কমিনিস্তান-ইরান, শুক্রবার বাংলাদেশ-তুর্কমিনিস্তান, রবিবার শেষ দিনে বাংলাদেশ-ইরান মুখোমুখি হবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টায় খেলা শুরু। তিন দলের লড়াই থেকে চ্যাম্পিয়ন দল পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে। ২০২৪ সালে উজবেকিস্তানে চূড়ান্ত পর্ব। এশিয়া জুড়ে সেই খেলারই বাছাই শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের চোখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ইরান এবং তুর্কমিনিস্তান শক্তিশালী দল হলেও তাদেরকে হারানোর সুযোগ নিতেই হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে চান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ইরান শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিনিয়র দল হেরেছিল পাঁচ গোলে। তবে ইরানের বিপক্ষে বিভিন্ন বয় স ভিত্তিক দল জয় এনেছে। জকি কাপে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল জিতেছিল আট গোলে। অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ জিতেছিল তিন গোলে। অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে বাংলাদেশ জিতেছিল দুই গোলে। এবার অনূর্ধ্ব-২০ দলের লড়াই। সিনিয়র দলের কাছাকাছি শক্তি। ২০ বছর বয়সের খেলোয়াড়রাই সিনিয়র দলে খেলবেন। খুব একটা পার্থক্য ধরাও যায় না, শুধু বাংলাদেশ দলের ব্যাপারে। কারণ এই ফুটবলারদের অনেকেই সিনিয়র দলেও খেলেন। উপায় নেই।
ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটা খেলেছিল। সেই দলের সবাই আছেন বাছাইয়ের খেলায়। দুই জন পরিবর্তন করা হয়েছে। সাফের দলে থাকা গোলকিপার প্রীতি রাণীর বদলে নেওয়া হয়েছে স্বর্ণা রাণীকে এবং আফরোজার বদলে নেওয়া হয়েছে কৃষ্ণা রাণীকে। গোলকিপার প্রীতি রাণী নতুন। কৃষ্ণা রাণী অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেছেন বলে জানালেন কোচ ছোটন। অধিনায়ক থাকছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। যারা কমলাপুর স্টেডিয়ামে নারী সাফে (অনূর্ধ্ব-২০) খেলেছেন, তারাই আবার মাঠে নামতে যাচ্ছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিন চার দিন ছুটি ছিল। তার পর আবার খেলোয়াড়রা অনুশীলনে নেমে পড়েন।