বলিউড সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন অভিনেত্রী সাদিয়া আন্দালিব নাবিলা। তবে এরইমধ্যে দেশের সিনেমাতেও বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমাতে তার ইরা চরিত্রটিও এরইমধ্যে বেশ আলোচনা তৈরি করেছে। এই সিনেমাটির পাশাপাশি নিজের অভিনয় ভাবনা নিয়ে তিনি কথা বললেন।
আপনার ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন বা প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে?
এখন অবধি ৯৮ ভাগ পজেটিভ রিভিউ পাচ্ছি। আমরা আসলে অনেক পরিশ্রম করে কাজটি করেছিলাম। যে কারণে প্রত্যাশার পাল্লাটাও অনেক ভারি ছিল। সেই জায়গা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখতে পাচ্ছি সবাই আমার ইরা চরিত্রটি নিয়ে কথা বলছেন। ইরার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করছে। বলতে পারেন, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু পাচ্ছি।
সিনেমাটিতে আরিফিন শুভর সঙ্গে অভিনয় করেছেন। সহযোগিতা কেমন পেয়েছেন?
‘মিশন এক্সট্রিম’-এ শুভ ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করে দেশের সিনেমায় যাত্রা শুরু করেছি। এবার সিনেমাটির সিক্যুয়েলে কাজ করলাম। ভালো অভিনেতার পাশাপাশি তিনি অনেক মজার একজন মানুষ। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেককিছু শিখতে পেরেছি।
আপনার দুটি সিনেমাই বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সেই জায়গা থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে কি-না?
অবশ্যই, নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে। সিনেমার টানেই বারবার দেশে আসি। তবে বেছে বেছে ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।
এর বাইরে নতুন কোন কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
মিশন এক্সট্রিম করার পর থেকেই একাধিক সিনেমা-ওয়েব সিরিজের অফার পাচ্ছি। কিন্তু আমি একটি কাজ শেষ না করে অন্য চরিত্রে ঢুকতে চাইনি। তাছাড়া হুটহাট করে কোনো কাজে ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়ে দর্শকদের ভালোবাসা হারাতে চাই না। যে কারণে একটু সময় নিচ্ছি।
অনেকেই বলেন, শুরুতে নতুনরা সেভাবে সুযোগ পান না। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আমার বলিউড যাত্রাটা আসলে স্বপ্নের মতো হয়ে গিয়েছিল। বলিউড থেকেই আমার সঙ্গে কন্টাক্ট করেন। এরপর শুভ ভাই মিশন এক্সট্রিমের জন্য আমার রেফারেন্স দেন। সব মিলিয়ে নতুনরা যেভাবে স্ট্রাগল করে উঠে আসেন সেই অভিজ্ঞতা আমার হয়নি।
প্রথম বলিউড সিনেমা মুক্তির পর নতুন কোনো কাজের অফার পাচ্ছেন কি-না?
দেখুন, বলিউড সিনেমার কাজটি করার পরই কিন্তু দেশের সিনেমায় যুক্ত হয়ে যাই। তাই চাইলেও বলিউডে কাজ করা সম্ভব হতো না। তবে ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রি ভেদাভেদ না করে বাংলাদেশ, ভারত, হলিউড, যেখানেই ভালো কাজের সুযোগ পাবো সেখানেই যুক্ত হবো।
দেশের চলচ্চিত্র নিয়ে কী বলবেন? কেমন দেখছেন অবস্থা?
গতবছর ‘হাওয়া’ এবং ‘পরাণ’ এত ভালোবাসা পেয়েছে, যা অনেক ভালোলাগার একটি দিক। একটি সিনেমা যখন ভালো লাগে তখন অনেকেই বলেন, চল আরেকটি সিনেমা দেখতে যাই। আসলে দর্শকদের মাঝে একটা ঝোঁক তৈরি হয়। সেই ঝোঁকটা যেন অব্যাহত থাকে, এটা চাই। আমরা যদি নিজেদের কাজগুলো দর্শকদের কাছে প্রচারণার মাধ্যমে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে সেই ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় থাকবে।