কোটা আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনার জন্য শেষ মুহূর্তের কূটনীতি জুলাই ২০২৪-এ যখন সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে ঢাকা শহর উত্তাল তখন হাজার হাজার মাইল দূরে লন্ডনে একটি সমান্তরাল কূটনৈতিক অভিযান চলে। এখানে বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কোটা সম্পর্কিত অবস্থান যুক্তরাজ্য সরকার, পার্লামেন্ট, গণমাধ্যম, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে বিশেষভাবে তৎপর ছিল। এই প্রচেষ্টার অন্যতম অংশ ছিল ২৩শে জুলাই ২০২৪ যুক্তরাজ্য ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (FCDO)-এ ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী (সংসদীয় আন্ডার-সেক্রেটারি অফ স্টেট) ক্যাথরিন ওয়েস্ট এমপির সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। আমি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিই। দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) শেখ মো. শাহরিয়ার মোশাররফ এবং কাউন্সিলর এ. কে. এম মনিরুল হক এতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগেও মিসেস ওয়েস্টের সাথে আমার অনেকবার দেখা হয়েছে। সবসময়ই তার শান্ত, চিন্তাশীল ও আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু সেদিন তাকে গভীরভাবে বিচলিত মনে হচ্ছিল—বাংলাদেশের চলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, বিশেষ করে ছাত্র বিক্ষোভ তাকে বিচলিত করছিল। দিনে দিনে উত্তাল হওয়া এই বিক্ষোভ বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে এবং তার নিজের নির্বাচনী এলাকা ‘হর্নসি ও ফ্রিয়ার্ন বার্নেট’-এর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর শঙ্কা সৃষ্টি করেছিল। বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিসেস ওয়েস্ট বারবার এই প্রবাসীদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন— বিশেষভাবে বাংলাদেশে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা, বিক্ষোভের ব্যাপকতা এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা উল্লেখ করেন। আমরা যখন কোটা আন্দোলনের আড়ালে বাংলাদেশে কোন ধরনের পরিবর্তন আনার যড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছিলাম, তখন তার সম্পূর্ণ মনোযোগ তার জনগণের, বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকার বাংলাদেশি অভিবাসীদের আত্মীয়-স্বজনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর নিবদ্ধ ছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং উচ্চ-শিক্ষায় শিক্ষিত মিসেস ওয়েস্ট নিজেও একজন অভিবাসী। এই কারণে যারা প্রিয়জনদের ছেড়ে ভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছেন তাদের প্রতি তাঁর গভীর সহানুভূতি ছিল। তিনি খোলাখুলিভাবে জানান যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে তাঁর ওপর চাপ রয়েছে। এই চাপ বাংলাদেশে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য। মিসেস ওয়েস্টের প্রধান উদ্বেগ ছিল ইন্টারনেট কেন বন্ধ এবং কখন তা আবার চালু হবে। হাইকমিশনার তাকে জানান যে ইন্টারনেট সবেমাত্র আবার চালু হয়েছে। কিন্তু মিসেস ওয়েস্ট নিশ্চিত ছিলেন না। কারণ সংযোগ যখন-তখন বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর আসছিল। তিনি পরামর্শ দেন যে ইন্টারনেট যেন সবসময় চালু থাকে যাতে মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। বিশেষ করে এমন অস্থির মুহূর্তে। হাইকমিশনার আবারো বলেন যে ইন্টারনেট সম্পূর্ণরূপে চালু রয়েছে এবং যেকোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকলে সেসব বিকেলের মধ্যেই সমাধান করা হবে।পরিতাপের বিষয় ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা আমাদের সভার মূল উদ্দেশ্য মাটি করে দেয়। যদিও আমরা মরিয়া হয়ে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলাম যে ছাত্রদের কোটা আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে অস্থিতিশীল করার একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। মিসেস ওয়েস্ট এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি—শুধু বলেন যে তিনি ‘ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে নিয়মিত ব্রিফিং’ পাচ্ছেন।
২০২৪: যখন বাংলাদেশ ধ্বংস হলো (১ম পর্ব)
মিসেস ওয়েস্টের সাথে বৈঠকের পর আমরা লেবার এমপি আফসানা বেগমের সাথে দেখা করার জন্য পোর্টকুলিস হাউসে (যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের একটি অংশ যেখানে এমপিদের অফিস রয়েছে) যাই। আগের দিন আফসানা বেগমসহ পাঁচজন এমপি—এলি চাউন্স (গ্রিন), স্যামি উইলসন (ডিইউপি), কার্লা ডেনিয়ার (গ্রিন), জারা সুলতানা (লেবার) এবং জেরেমি করবিন (লেবার) বাংলাদেশের চলমান ছাত্র বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে একটি ‘আর্লি ডে মোশন’ (EDM) উত্থাপন করেছিলেন। প্রস্তাবটিতে বলা হয়: “এই পার্লামেন্ট বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন; বিশেষ করে এই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত যে সরকারের কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী নিহত বা আহত হয়েছে। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ রায়টির বিষয়ে (পার্লামেন্ট) অবগত, কিন্তু বাংলাদেশে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার আশংকা রয়েই গেছে।
২০২৪: যখন বাংলাদেশ ধ্বংস হলো – (দ্বিতীয় পর্ব)
ছাত্রদের প্রতি সহিংসতা, হত্যা, ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিসেবা বন্ধ করে দেওয়া এবং অন্যান্য ধরনের দমন-পীড়ন অগ্রহণযোগ্য এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষার পরিপন্থী। সাধারণ নাগরিকদের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি নিয়ে (এই পার্লামেন্ট) উদ্বিগ্ন; এবং পুনর্ব্যক্ত করে যে প্রতিবাদ করার অধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবিচ্ছেদ্য এবং যেকোনো কার্যকর গণতন্ত্রের ভিত্তি।” একটি ‘ইডিএম’ হল যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের উপস্থাপিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি যা এমপিরা কোনো বিষয় তুলে ধরতে বা মতামত প্রকাশ করতে ব্যবহার করেন। এটি উপস্থাপনের জন্য শুধুমাত্র একজন এমপির প্রয়োজন হয়, এবং এটি বৈধ বা প্রকাশিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় না। যদিও ইডিএম আইনের মতো পাস করা হয় না, তবে এর পক্ষে যত বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয় তা তত বেশি মনোযোগ এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।

আমরা আফসানা বেগমকে প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু তার সাথে দেখা করার পর দ্রুতই স্পষ্ট হয়ে যায় যে এটি বৃথা হবে। তবু শেষ চেষ্টা হিসেবে আমরা তাকে ইডিএমটি প্রত্যাহার করার কথা বিবেচনা করার অনুরোধ করি। মিসেস আফসানার জবাব অপ্রত্যাশিত ছিল না। তার অবস্থান ছিল দৃঢ়, অবিচল। তিনি সফলভাবে এটি একটি ক্রস-পার্টির উদ্বেগ হিসেবে উত্থাপন করেন। যদিও কোনো কনজারভেটিভ এমপি এতে স্বাক্ষর করেননি। ইডিএমটি লেবার, প্লেড সিমরু (ওয়েলসের একটি রাজনৈতিক দল), গ্রিন পার্টি, ডিইউপি এবং কয়েকজন স্বতন্ত্র এমপি সহ ৩১ জন এমপির সমর্থন অর্জন করেছিল। পৃষ্ঠপোষক ছাড়াও প্রস্তাবটির সমর্থনকারী এমপিরা হলেন: ম্যারি কেলি (লেবার), জিম শ্যানন (ডিইউপি), রোজি ডাফিল্ড (লেবার), নাদিয়া হুইটোম (লেবার), বেন লেইক (প্লেড সিমরু), লিজ স্যাভিল রবার্টস (প্লেড সিমরু), বেল রিবেইরো-অ্যাডি (লেবার), অ্যান ডেভিস (প্লেড সিমরু), লিনোস মেডি (প্লেড সিমরু), শোকাট অ্যাডাম (স্বতন্ত্র), আয়ান ল্যাভারি (লেবার), ইকবাল মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র), কিম জনসন (লেবার), এবটিসাম মোহাম্মদ (লেবার), ডায়ান অ্যাবট (লেবার), ক্লাইভ লুইস (লেবার), ইয়ান বায়ার্ন (লেবার), অ্যান্ডি ম্যাকডোনাল্ড (লেবার), জন ম্যাকডোনাল্ড (লেবার), গ্রাহাম মরিস (লেবার), মেরি গ্লিন্ডন (লেবার), সিয়ান বেরি (লেবার), আদনান হুসাইন (স্বতন্ত্র), ডঃ রুপা হক (লেবার) এবং র্যাচেল মাস্কেল (লেবার)। মজার ব্যাপার হলো আদনান হুসাইন এবং ডঃ রুপা হক ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইডিএমটিতে স্বাক্ষর করেন। র্যাচেল মাস্কেল করেন আরো পরে ১৮ নভেম্বর ২০২৪-এ । এতে মনে হয় এই প্রস্তাবটি শেখ হাসিনার ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পতনের পরেও ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলিও তুলে ধরেছে।
এদিকে সেদিনই মিসেস ওয়েস্ট তার এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন: “বাংলাদেশে যাদের স্বজন-পরিজন ও পরিবার রয়েছে তাদের মতো আমরাও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংগঠিত সহিংসতা দেখে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্যের অবস্থান এ বিষয়ে পরিষ্কার যে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারীদের কখনোই কোন সহিংসতার শিকার হওয়া কাম্য নয়। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার, সমাবেশ করার এবং ভিন্ন রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের অধিকারগুলো যুক্তরাজ্য অত্যন্ত মূল্যবান মনে করে এবং সেগুলোকে রক্ষা করা উচিত। ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ পরিসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে বাংলাদেশের মানুষ যুক্তরাজ্য এবং সারা বিশ্বের তাদের পরিবারের সাথে সবসময় সংযুক্ত থাকতে পারে। আমরা সহিংসতা ও প্রাণহানির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানাই। আমরা সকল পক্ষকে বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজে বের করার আহ্বানও জানাচ্ছি। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে লন্ডনে এবং ব্রিটিশ হাই কমিশন ঢাকার মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমরা আমাদের ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শ নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করছি। আপনি বাংলাদেশে যদি কোনও ব্রিটিশ নাগরিকের বন্ধু বা পরিবারের সদস্য হন এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে অনুগ্রহ করে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। বাংলাদেশে যে কোনো ব্রিটিশ নাগরিকে কনস্যুলার সহায়তা প্রয়োজনে ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকায় যোগাযোগ করবেন। ”ওই পোস্টে তিনি চলমান ইন্টারনেট বন্ধ এবং কোটা আন্দোলনে সময় সংঘটিত সহিংসতার বিষয়ে তার উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেন। দুঃখজনকভাবে তার শান্তির আহ্বান—শান্তি ও সংযমের আহ্বান—উপেক্ষিত হয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেও প্রতিবাদী ছাত্র-জনতা এবং তাদের মিত্ররাও প্রতিহিংসামূলক হত্যা, নির্যাতন ও দেশব্যাপী ধংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মব ভায়োলেন্সে হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অগণিত ঐতিহাসিক স্থান ও মহান স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস, রাজনৈতিক বিরোধীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া এবং রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী ও শিল্পীদের নির্বিচার গ্রেপ্তার বাংলাদেশের মাটিকে ১৯৭১ সালের পর সবচে ভয়াবহভাবে কলুষিত করেছে।
তবে মিসেস ওয়েস্টের বক্তব্য আমাকে ভিন্ন মাত্রায় গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিলো। তিনি ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সুরক্ষার দায়িত্বকে কতটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন তার প্রমাণ ছিলো সোস্যাল মিডিয়ায় তার সেই পোস্ট। সেই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে ব্রিটিশ জনপ্রতিনিধিরা কী নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেন; সংকটের মুহূর্তে তাদের পাশে দাড়ান- সেই জনগোষ্ঠী যত ছোট হোক বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকুক না কেন। এটি আমার সামনে গণতন্ত্রের প্রকৃত সংজ্ঞা এবং জনপ্রতিনিধিদের কর্তব্যের প্রতিফলন নতুন মাত্রায় তুলে ধরে—প্রকৃত গণতন্ত্র কেবল নির্বাচন বা বড় বক্তৃতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় না—এটি পরিমাপ করা হয় একটি রাষ্ট্র কীভাবে তার নাগরিকদের রক্ষা করে, বিশেষ করে তাদের সবচেয়ে সংকট মুহূর্তে। মনে প্রশ্ন জাগে- আমার দেশে জনপ্রতিনিধিরা কি করেন? উত্তর অনেকেই জানেন- আমিও। কিন্তু এই মুহূর্তে তা বলে লাভ কী।
ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদঃ –মতিয়ার চৌধুরী।
(আশেকুন নবী চৌধুরী একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কূটনীতিক ও লেখক। যোগাযোগের জন্য ইমেইল করতে পারেন-ashikbss@gmail.com)।
পরবর্তী পর্ব: ২৬ জুন, ২০২৫: শেখ হাসিনার জন্য শেষ মুহূর্তের কূটনীতি ইউকে ফরেন অফিসে বৈঠক
(সম্পূর্ণ বইটি ২০২৫ সালের আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে।)