অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এই সপ্তাহে আরও ক্ষতিকারক বাতাস এবং তাপের মুখোমুখি হচ্ছে, বুধবার আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
নিউজিল্যান্ডের পূর্বাভাসকারী মেটসার্ভিস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দ্বীপের পূর্ব উপকূল বরাবর ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) এবং রাজধানী ওয়েলিংটনের আশেপাশে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জনগণকে ঘরের ভিতরে থাকতে হবে, ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হবে এবং সম্ভাব্য বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মঙ্গলবার তীব্র বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের পরে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে এবং ওয়েলিংটনের একটি পার্কে একটি গাছের ডাল পড়ে একজনের মৃত্যু হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার বিরল মৃত্তিকা চুক্তি
দক্ষিণ দ্বীপের কাইকৌরার কাছে এবং উত্তর দ্বীপের হকস বেতে মঙ্গলবারের বাতাসের কারণে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা দমকলকর্মীদের জন্য আবহাওয়া উদ্বেগের বিষয়।
অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি অবস্থা নিউজিল্যান্ডের সহকারী জাতীয় কমান্ডার কেন কুপার বলেছেন কাইকৌরার কাছে ১৪টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে, যার মধ্যে পাঁচটি বাড়ি রয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট বন্ধ রয়েছে এবং সরিয়ে নেওয়ার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা এলাকাটি পুড়ে যাওয়ার অনুমান করেননি।
FENZ জানিয়েছে হকস বেতে আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে, যদিও বাতাস বেশ জোরে ছিল, এবং তারা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করছে।
অস্ট্রেলিয়া আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অঞ্চলে চরম তাপ রেকর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে এবং তাপপ্রবাহ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। বুধবার সিডনির তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।








