ছেলেটি সদ্য মেট্রিকুলেশান পাশ করেছে।
দাদা-দাদীর শখ
নাতিটিকে বিয়ে দিয়ে –
লাল টুকটুকে নাত-বৌ নিয়ে আসবে,
ছেলেটি শুনে তো লজ্জায় লাল।
এই বয়সে কি করে হয়-
ছেলের বন্ধুদেরকে ডেকে পাঠালো
তোমরা গিয়ে মেয়েটিকে দেখে আস।
আমরা কথা বলেছি- আসছে ১৮ই
আষাঢ়, সোমবার দুপুরে।
যাওয়াও এক সকমারী ব্যাপার।
লঞ্চে পশ্চবর্তী, তারপর নৌকায়
মাওলানা বাড়ী-
গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর,
দ্বীপের মত মনে হয়-
সমুদ্রের মাঝে এক চিলতে গ্রাম।
বন্ধু-বান্ধব নিয়ে যাওয়ার সময়
দেখা গেল।
কলসীর উপর ভর করে
৮/১০ জন শাড়ী পরা মেয়ে
পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে
উৎসুক নৌকার্যা ওদের কাছাকাছি গেল-
নদীর অতটা দুরে অবস্থান করছে
গ্রাম থেকে ওদের দেখার
কোন জো নেই-
মেঘেগুলো এসে একে একে নৌকা ধরালা
বেশ খুনসুটি হলো।
বাড়ীতে উঠলো- বেয় সমাদর করে
তাদর বসানো হলো।
খাওয়া-দাওয়ার পর
মেয়ে দেখার পালা
ওমা- সবার চোখ ছানাবড়া।
ওতো ভেসে বেড়ানোর ১ জন।
মেয়ে পছন্দ হয়েছে।
কিন্তু বাদ সাধলো মেঘের
দুলাভাই
কারন হিসেবে বললো
চুল লম্বা, ধুতি পরেছে
দেখতে মনে হয় – বেয়াদব
কিন্তু মাওলানা সাহেব অত্যন্ত
ধীর-স্থির ভাবে বললেন
পোষাক পরিচুদ দিয়ে কাউকে
বিচার করা ঠিক নয়।
উঠতি বয়স – সময়ের সাথে সাথে
ঠিক হয়ে যাবে।
ওদের বিয়ে হয়েছে।