খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পুলিশসহ বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ মে) বিকাল ৪টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কর্মী সভা ছিল। দুপুর ৩টার দিকে কর্মী সমাবেশ শেষ হয়। এরপর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ৩টার পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপির খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে থাকে। বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে প্রেসক্লাবের সামনের স্যার ইকবাল রোডসহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ, গুলি ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ বিএনপির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ সমাবেশে পণ্ড করতে গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করেছে। এতে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি অনুমতি ছাড়া খুলনা প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দখল করে সমাবেশ শুরু করে। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বললে হঠাৎ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে ১১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৬২ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।