বাংলাদেশের জন্য আগামী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আরো কঠিন হয়ে গেল। এমনিতেই সাফে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার ওপর সাফের বাইরের দুই দল কুয়েত এবং লেবানন প্রবেশ করায় আগামী আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে তা বলা কঠিন।
২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার দল ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ছাড়াও আরো দুটি দেশকে সাফে খেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথমে কুয়েত এবং গতকাল লেবানন নিশ্চিত করেছে তারা সাফে খেলবে। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন লেবাননের খেলার কথা। তারা নাকি শক্তিশালী দলই পাঠাবে। অষ্টম দলের অপেক্ষায় ছিলেন সাফেল সাধারণ সম্পাদক। আর এর জন্য ১৫ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করে ২১ মে ড্রয়ের সময় নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু তার আগেই আট দলের তালিকা সাফের হাতে চলে এসেছে। এখন ড্র অনুষ্ঠিত হবে কবে সেটি চূড়ান্ত না হলেও ভারতের সঙ্গে কথা বলে ড্রয়ের জন্য একটা দিন তারিখ জানাবে সাফ।
ধরে নেওয়া যায় আট দল দুই গ্রুপে খেলবে। বাংলাদেশ যে গ্রুপেই পড়ুক সেটা যে সহজ হবেই না, তা নিশ্চিত। দেশের ফুটবলারদের যে মান তাতে কঠিন অঙ্কে পড়তে হবে জামাল ভুঁইয়াদের। ২০০৩ সালে প্রথমবার সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ওটাই প্রথম এবং শেষ। আর ২০০৯ সালে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর যা হয়েছে তার শুধু গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের গল্প। সেই দল এবার কীভাবে গ্রুপ পর্ব পার হবে সেটা বলা কঠিন। ফিফার র্যাংকিংয়ে কুয়েত ১৪৩ নম্বরে আর লেবানন রয়েছে ৯৯ নম্বরে। এই তালিকা বলছে দুই দেশ শক্তিশালী। কুয়েত ও লেবাননের পর সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত ১০১ নম্বরে। মালদ্বীপ ১৫৪, নেপাল ১৭৪, ভুটান ১৮৫, বাংলাদেশ ১৯২, পাকিস্তান ১৯৫ নম্বরে। মাঠের পারফরম্যান্স বাদ দিয়ে যদি র্যাংকিংয়ের তালিকা ধরে হিসাব করা হয় তাহলে বাংলাদেশ এবারও শূন্য হাতে ফিরে আসতে পারে।
যদিও স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা মনে করছেন তারা একটা একটা ম্যাচ পার করতে চান। রোববার দুপুরে বাফুফেতে ন্যাশনাল টিমস কমিটির সভা শেষে জানিয়েছিলেন ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখে কাজ করবেন।
তবে এখনই নয় ড্র হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে চায় ন্যাশনাল টিমস কমিটি। ড্র হওয়ার নিয়মটা প্রকাশ করেনি সাফ।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলকে শক্তিশালী করতে সাফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন সাফের বাইরের দেশকে এই অঞ্চলের টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। এখানে ভারতেরও মত ছিল। তারাও একমত যে, সাফে আরো শক্তিশালী দল আসুক। বার বার ভারত চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে অন্য কোনো দেশ সেভাবে ধাক্কা দিতে পারছে না।
সামনে সাফ হলেও ভারত তাদের ঘরের মাঠে হিরো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে খেলবে বাংলাদেশ আগামী ১৫ মে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প ডেকেছেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর ষ্টিমাচ। ৩৫ ফুটবলার ডেকেছেন। এই টুর্নামেন্ট শুরু ৯ জুন। এখানে লেবানন, মঙ্গোলিয়াসহ চার দল খেলবে। ভুবনেশ্বরে এই টুর্নামেন্ট খেলে সাফে যাবে ভারত। বাংলাদেশ অনুশীলন শুরু করবে ৪ জুন, ক্যাম্প হবে ঢাকায়। কম্বোডিয়ায় যাবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে।