এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। সমানতালে করে যাচ্ছেন নাচ ও অভিনয়। সম্প্রতি দীপ্ত টেলিভিশনে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন এই অভিনেত্রী। নিজের কাজ ও অভিনয় নিয়ে কথা বলেছেন ।
ধারাবাহিক’ নাটকের জন্য সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছেন। অনুভূতি কেমন?
দীপ্ত টেলিভিশনে প্রচারিত ধারাবাহিক ‘বকুলপুর’ নাটকে প্রিন্সেস দিবা চরিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। মজার বিষয় হলো, এই নাটকটিও সেরা ধারাবাহিক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে। সব মিলিয়ে অনেক বেশি ভালোলাগা কাজ করছে।
একক নাটকের চেয়ে ধারাবাহিকে আপনাকে বেশি দেখা যায়। কারণ কি?
কেনো জানি আমার ধারাবাহিক নাটক বেশি করা হয়। এখন আমার ‘বকুলপুর’ ও ‘পিতা বনাম পুত্র গং’ নাটক প্রচার হচ্ছে। দুটো নাটকই দর্শকের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আসলে ধারাবাহিকের জন্য একক নাটকে খুব বেশি সময় দিতে পারি না। এছাড়া ডিরেক্টররা হয়তো ধারাবাহিকের জন্য আমাকে বেশি ভালো মনে করেন। তবে আমি একক নাটক, ধারাবাহিক ও টেলিফিল্মসহ সব মাধ্যমেই কাজ করতে চাই।
এ বছর দেশে ভালো ভালো সিনেমা এসেছে। অনেকেই বলছে, ভালো সিনেমার কারণে নাটকের দর্শক কমছে। আপনার কি মনে হয়?
না না। এটা ঠিক না। কোনো কিছুর জন্য কোনো কিছু কমে যায় না। নাটকের দর্শক আলাদা, সিনেমার দর্শক আলাদা। বরং আমরা যারা অভিনয় করি তাদের জন্য বড় প্রাপ্তি, সিনেমার জন্য দর্শকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের দর্শকের জন্য এটা বড় পাওয়া। ভালো সিনেমার কারণে নাটকের দর্শক কখনো কমে না।
বর্তমানের ওটিটি অনেক জনপ্রিয়। এই প্ল্যাটফর্মে দর্শক আপনাকে কবে দেখবে?
দেখুন, এটা প্রযুক্তির যুগ। মানুষ এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকছে। দেশে ভালো ভালো কন্টেন্ট তৈরি হচ্ছে। যেগুলো দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মে আমারও কাজ করা আগ্রহ আছে। ভালো গল্প পেলে অবশ্যই অভিনয় করবো।
অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও আপনার ব্যাপক সুনাম। একই সঙ্গে দুটিকে মেইনটেইন করেন কীভাবে?
একজন শিল্পী হিসেবে নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই নাচের প্রতি মন থেকে টান অনুভব করি। এছাড়া চর্চার বিকল্প নেই। তাই দুটোই ঠিকভাবে ধরে রাখার চেষ্টা করি।
দর্শকের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
আপনাদের জন্যই আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। বেশি বেশি বাংলা নাটক দেখবেন। নাটক বেঁচে থাকলে আমরা বেঁচে থাকবো। আপনাদের ভালো ভালো কাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো।