বিভেদের দেয়াল
মানব ভ্রুণে জন্ম তবুও, মানুষ হওয়া হলো না
মানুষ নয় ধর্মীয় পরিচয়টা আজ বড় হয়ে উঠেছে
অন্ধকারের চোরাগলিতে হারিয়ে যায় সব
তাতেই উচ্ছ্বাস দেখে লজ্জিত হই।
নির্বাক মানবতা কাঁদে নিভৃতে
স্বার্থের দাবানলে পুড়ে ছাই হয় বিবেক।
বর্ণ, জাত, ধর্মের বেড়াজালে বাঁধা,
মানুষ খোঁজে না আর হৃদয়ের আলো।
মানবতা আজ পরাজিত, ধর্ম হয়েছে শাসক
রক্তের রঙ এক, তবু ভেদাভেদ অসীম,
ঘৃণার অগ্নিতে পুড়ে যায় প্রতিদিন।
মানুষ কোথায়? হৃদয়ে, নাকি কাগজের সনদে ?
রক্তের রঙ কি বদলায় পরিচয়ের ছায়ায়
নাকি ঘৃণার দেয়ালে আটকে গেছে আলো?
মানুষ খোঁজে মানুষ, মেলে শুধু বিভেদের বাঁধ
শুদ্ধতার প্রদীপ নিভে যায় বিদ্বেষের হাওয়ায়।
প্রশ্ন জাগে—মানবতা কি আজ মৃতের তালিকায় ?
রক্তে রাঙা দিগন্ত
বোমার কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে
পৃথিবী আজ লাশের স্তুপে পরিনত হয়েছে
রক্তে রঞ্জিত শিশুর হাসিমুখ
নির্বাক দাঁড়িয়ে বিধ্বস্ত এক বুক।
যেই চোখে স্বপ্ন থাকে আগামীর নতুন দিগন্তের,
সেই চোখে আজ শুধু ভয় আর কান্না।
কান পাতলে শোনা যায় মায়ের হাহাকারে
উগ্র সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প আর অস্ত্র ব্যবসার রমরমা কৌশল।
ভয় আর বিভীষিকায় কাঁপছে ধরণী,
মানবতা আজ নিঃশব্দে করে হাহাকার।