‘একটি কবর খোঁড়া রয়েছে,জ্বলন্ত ওই কবরে শুয়ে রয়েছেন তিনি’- এমনই ভয়াবহ স্বপ্ন দেখতেন সানা খান।২০১৯ সাল নাগাদ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় সানার এই স্বপ্নআতঙ্ক।মাঝে মধ্যেই এমন স্বপ্ন দেখতেন রাতে।আর মানসিক অবসাদ গ্রাস করত তাকে।নিজের জীবনের সেই কঠিন সময়টিকে তুলে ধরতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সাবেক বলিউড অভিনেত্রী।সোমবার জিও নিউজ জানায়,সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সানা।ইসলাম নির্দেশিত ধর্মীয় জীবনের পথ বেছে নিয়েছেন ১৫ বছরের অভিনয় জীবন ছেড়ে।২০২০ সালে বিয়ে করেছেন মুফতি আনাস সাইদকে।তার জন্য তাকে একাধিক বার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে বটে।এই ভিডিওতে তিনি তার পরিবর্তনের যাত্রা সম্পর্কে জানালেন।
এক সময়ে তিনি নিজের পছন্দ মতো জীবন যাপন করতেন,এখন তিনি তার প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে চলেন। এক সময় তিনি বেশ ছোট পোশাক পরতেন,সেগুলো ছেড়ে এখন তিনি হিজাব পরেন।তার কারণ জানালেন সানা।
দুঃস্বপ্ন দেখতে দেখতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন।আতঙ্কে,অবসাদে মুহ্যমান ছিলেন সানা।কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিজাব পরলেও বাড়ি ফিরে তা খুলে ফেলতেন।
তার কথায়,ফেলে আসা জীবনে আমার কাছে সব ছিল,নাম,যশ,খ্যাতি,অর্থ।কিন্তু কেন জানি না,সুখী ছিলাম না।কিছু একটা নেই মনে হতো।তারপরেই ওই স্বপ্ন দেখা শুরু।তখন মনে হলো,আল্লাহ আমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন,যাতে আমি বদলাই।এখনো যদি না বদলাই,আমি জীবনের শেষটা এমনই হয়ে যাবে।এক রাতে আমি আধ্যাত্মিক বয়ান শুনছিলাম,সেখানে জানলাম,পুরুষের মৃতদেরকে তিনটি কাপড়ে মোড়া হয়,মহিলাদের পাঁচটি কাপড়ে।কারণ আল্লাহ চান না,মৃত্যুর পরেও কেউ মহিলার শরীরের আকার আকৃতি দেখতে পাক।মাথাতেও হিজাব পরানো হয়। সেটা শুনে আমার ভালো লাগে।তার পরেই সিদ্ধান্ত নিই,আর কোনো দিন হিজাব খুলব না আমি।পরের দিন সকালে আমার জন্মদিন ছিল।হিজাব পরলাম আর কোনো দিন খুলিনি।সব সময় হজে যেতে চাইতেন সানা,সেই ইচ্ছাও পূরণ করেছেন তিনি।চলতি বছরেই হজে গিয়েছিলেন তিনি সাবেক এই অভিনেত্রী।