মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলো বাংলাদেশ। ১-১ সমতায় থাকা সিইরজে শেষ ম্যাচ দুই দলের জন্যই হয়ে দাঁড়িয়েছে অঘোষিত ফাইনাল। ব্যাটিংয়ে নেম ফারজানার ১০৭ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৫ রানের সংগ্রহ পায় নিগার সুলাতান জ্যোতির দল।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে দুই ওপেনার ফারজানা আর শামিমা সুলতানার কল্যাণে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে দুইজন মিলে তোলেন ৯৩ রান। ফারজানা ধরে খেললেও শামিমা ছিলেন আক্রমণাত্মক। দুর্দান্ত এক ফিফটিও তুলে নেন শামিমা। ৭৮ বলে ৫২ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে টাইগ্রেসদের ইনিংস গড়েন ফারজানা। দুজন মিলে গড়েন ৭১ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাজঘরে ফেরেন জ্যোতি। তবে আরেক প্রান্তে ফারজানা তখনও অবিচল। সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে দলকে বড় রানের দিকে নিয়ে যান ফারজানা।
অফসাইডে বল ঠেলে দৌড়ে দুই রান নিয়েই ১৫৬ বলে প্রথপম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান ফারজানা।
যা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে আন্তর্জান্তিক অঙ্গণে যে কোন ফরম্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার সময় তার নামের পাশে ১০৭ রানের জ্বলজ্বলে এক ইনিংস। সোবহানা অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২৩ রান করে। ফারজানার এই ১০৭ রান নারী ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস ছিলো সালমা খাতুনের।
ফারজ্জানার সেঞ্চুরির সুবাদে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে টাইগ্রেসরা। এর আগে ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিলো ২১০ রান।