পাবনার সাঁথিয়ায় বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গলায় ফাঁস নিয়ে স্বর্ণা খাতুন (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
সে উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও ধুলাউড়ি বালিকা উচ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
এদিকে উপজেলার ভাটো সোনাতলা গ্রামের সুপ্তি খাতুন (১৬) নামের আরেকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী সোমবার (২৬ ফেব্রয়ারি) রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একই সপ্তাহে পরপর একই কেন্দ্রের দুইজন পরীক্ষার্থী আত্নহত্যা করায় অভিভাবকমহলে উদ্বেগ,উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
জানা যায়, বুধবার স্বর্ণার আইসিটি পরীক্ষা ছিল। সে সাঁথিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেদ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষার দিন কেন্দ্রের কর্তব্যরত অফিসার তার উত্তরপত্র কেড়ে নেন। এতে স্বর্ণার পরীক্ষা খারাপ হয়। সে পরীক্ষা শেষে বাড়িতে গিয়ে দুপুরে ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস নেয়। আশংকাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সাঁথিয়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উপজেলা যুব উনয়ন কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে আমি ছাড়াও অনেক কর্মকর্তা পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে থাকেন। অন্যদের দ্বারা এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে উপজেলার ভাটো সোনাতলা গ্রামের সুপ্তি খাতুন (১৬) নামের আরেক এসএসসি পরীক্ষার্থী সোমবার (২৬ ফেব্রয়ারি) রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই মেয়েটি সোনাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।