নব্বইয়ের দশকে একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন গোবিন্দ। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের জন্যও দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি।
হিন্দি ফিল্মজগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনেতা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন গোবিন্দ। তবে কেরিয়ারে একাধিক হিট ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে হয়েছিল তাঁকে।
১৯৮৯ সালে যশ চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘চাঁদনি’। ঋষি কপূরের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। মুক্তির পর ছবি হিট করার পাশাপাশি দর্শকদের আলোচনায় উঠে আসে পর্দায় ঋষি এবং শ্রীদেবীর সম্পর্কের রসায়ন।
ঋষি নন, ‘চাঁদনি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথমে গোবিন্দকে প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে বলিপাড়া সূত্রে খবর। কিন্তু হুইলচেয়ারে বসে অভিনয় করতে হবে জানার পর তিনি এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন।
১৯৯৯ সালে সুভাষ ঘাইয়ের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘তাল’ ছবিটি। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, অনিল কপূর এবং অক্ষয় খন্না। মুক্তির পর ছবিটির পাশাপাশি ছবির গানগুলিও হিট হয়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, অনিল নন, বরং গোবিন্দকে প্রথমে পছন্দ করেছিলেন ‘তাল’ ছবির নির্মাতারা। কিন্তু সুভাষের সঙ্গে ছবির নাম নিয়ে মতের অমিল দেখা দেয় গোবিন্দের।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘তাল’ ছবির নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন গোবিন্দ। অভিনেতার শর্তে সুভাষ রাজি না হওয়ায় গোবিন্দ এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দেন। তার পর অনিলকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হয়ে যান।
২০০১ সালে অনিল শর্মার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সানি দেওল এবং অমিশা পটেল অভিনীত ‘গদর: এক প্রেম কথা’। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানিয়েছিলেন, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথমে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানিয়েছিলেন, ‘গদর: এক প্রেম কথা’ ছবিতে তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলেও তিনি রাজি হননি। তাঁর মতে ছবিতে এমন কিছু সংলাপ ছিল যার মধ্যে রাজনৈতিক ছাপ লক্ষ করেছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে তা নিয়ে কোনও রকম বিতর্কে জড়াতে চাননি বলে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দেন তিনি।
গোবিন্দ একট পুরনো সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন যে, বলিপাড়ার প্রথম সারির ছবিনির্মাতা সঞ্জয় লীলা ভন্সালী তাঁর ছবিতে গোবিন্দকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সঞ্জয়ের প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা।