‘বিগ বস্ ওটিটি ২’-তে নজর কাড়েন মনীষা রানি। অল্প সময়ের মধ্যেই সবার মন ছুঁয়েছেন তিনি। ‘বিগ বস্’ জিততে পারেননি বটে, তবে এ বার ‘ঝলক দিখলা যা ১১’ বিজয়ী হলেন মনীষা। ওয়াইল্ড কার্ড প্রতিযোগী হিসাবে শোতে প্রবেশ তার পর সোজা বিজয়ীর ট্রফি এল মনীষার ঘরে। শোয়ে আসার পর থেকেই পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে তাঁর মৌলিক জীবনবোধ— সবেতেই সাবলীল নিজস্বতা রেখে এগিয়েছেন বিহারের কন্যা। অনেক সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন তিনি, সে কথা স্বীকার করতেও কুণ্ঠিত নন তিনি। নিজের উপস্থিত বুদ্ধি ও নাচের মাধ্যমে মন জয় করেছেন বিচারকদের।
বিজয়ী হয়ে ৩০ লাখ টাকা পেয়েছেন মনীষা। তাঁর নৃত্যগুরু আশুতোষ পওয়ার পেয়েছেন ১০ লাখ টাকার নগদ পুরস্কার। মনীষা ছাড়াও এই ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের শীর্ষ চার ফাইনালিস্টের মধ্যে ছিলেন শোয়েব ইব্রাহিম, শ্রীরাম চন্দ্র, অদ্রিজা সিনহা এবং ধনশ্রী বর্মা। যাঁদের মধ্যে মনীষা ও ধনশ্রী, দু’জনেই ওয়াইল্ড কার্ড প্রতিযোগী ছিলেন। বিহার থেকে নাচ শিখতে অনেক ছোট বয়সে কলকাতায় চলে আসেন মনীষা। নাচের জন্য প্রশিক্ষণও নেন। ২০ বছর বয়সে কলকাতা ছেড়ে মুম্বই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মুম্বই যাওয়ার পর নাচের একটি রিয়্যালিটি শোয়ের অডিশন দেন মনীষা। নাচের জন্য প্রশংসা পেলেও টিভি রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হননি তিনি। অডিশন থেকে বাদ পড়ে গেলেও হার মেনে নেননি। নাচের অভ্যাস চালিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে ‘ঝলক দিখলা যা’ শোয়ের ট্রফি জিতলেন তিনি।
বিজয়ী হয়ে মনীষা বলেন, ‘‘আমার স্বপ্ন সত্যি হল। আমি বিচারক এবং দর্শকদের ভালবাসা, সমর্থন এবং উৎসাহ পেয়েছি। আমি সকলের কাছে ঋণী। আমি জানতাম, এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনকে বদলে দেবে এবং সেটাই হয়েছে। ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হিসাবে, নিজেকে প্রমাণ করতে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। যার ফলে নৃত্যশিল্পী হিসাবেও আমার উন্নতি হয়েছে।’’