ফেনী থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন ৩৫ বছরের যুবক রাজিব মজুমদার। বাসের মধ্যে চোখ পড়ে মাহী নামে এক নারীর চোখে। তার চাহনিতে প্রেমের আকুতি খুঁজে পায় রাজিব। চোখাচোখি থেকে ভাল লাগা, পরে মোবাইল ফোন নাম্বার বিনিময়। সেখান থেকে আলাপচারিতা ও প্রেম। এক পর্যায়ে ফেনী শহরের মাহীর বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পায় রাজীব। আর সেখানে গিয়েই বুঝতে পারে ফাঁদে পড়ে গিয়েছে সে। সেখানে সর্বস্ব হারিয়ে থানার দ্বারস্থ হন রাজীব।
ফেনী শহরের নাজির রোডে মঙ্গলবার দুপুরে ওই প্রতারণার ঘটনা ঘটে। পরে থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী রাজিব।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের দুলাল মজুমদারের ছেলে রাজিবের সঙ্গে ২ সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে চোখাচোখির সূত্র ধরে মাহি নামে ওই তরুণীর সঙ্গে বাসে পরিচয় হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফোন করে ফেনী শহরের নাজির রোডে নিজের বাসায় ডাকেন রাজিবকে। রাজিব ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে মাহির বাসায় যায়। বাসায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিদ্যুৎ চলে যায়।
এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মাহির সহযোগীরা বাসায় ঢুকে মাহির সঙ্গে রাজীবের ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিওতে পোজ দিতে বাধ্য করে। অজ্ঞাত ওই পাঁচ যুবক রাজীবকে চড়-থাপ্পড ও কিল-ঘুষি মেরে সঙ্গে থাকা নগদ ৫ হাজার ৭০০ টাকা, মোবাইল ও মোটরসাইকেলের সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মোটরসাইকেল বিক্রির স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, রাজিবকে বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয় তারা। পরে শহরের নিহা মেডিক্যাল সেন্টার থেকে রাজিবের বন্ধু আজাদকে ফোন দিয়ে বিকাশে ১০ হাজার টাকা নিয়ে বিকাল পৌনে ৪টায় তাকে ছেড়ে দেয়।
মুক্ত হয়ে রাজিব মজুমদার ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন।