ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এক কিশোরী কারাগারে বাবা ও ভাইকে দেখতে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও স্থানীয়দের বরাতে সদর থানার ওসি জানান, শুক্রবার ওই কিশোরী ঠাকুরগাঁও কারাগারে থাকা বাবা ও ভাইকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়।সে বালিয়াডাঙ্গী স্ট্যান্ডে এসে সিএনজিতে ওঠার সময় একই এলাকার বাবলু, তালেব, আসলামসহ পাঁচজন ওই সিএনজিতে উঠে পড়ে। সিএনজিটি ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় পৌঁছলে কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি গুদামঘরে নিয়ে যায় তারা। সেখানে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে মৃত ভেবে রাতে গোবিন্দনগর ইক্ষু ফার্মের রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
রাতে পথচারীরা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন করে। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করে। কিশোরীর গলায় এবং শরীরে একাধিক আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওসি বলেন, ঘটনাটি বালিয়াডাঙ্গী থানার আওতায়। সেই থানার ওসিকে অবগত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত দ্বন্দ্ব আছে বলে জানা গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম ডন জানান, এ বিষয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিশোরীর কৃষক বাবাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩১ আগস্ট বিকেলে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এই সংবাদ কৃষকের ছেলে ইউএনও অফিসে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকেও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।