সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ভেসে ভারতের জলসীমায় চলে যাওয়া ২৩ জেলেকে উদ্ধারের পর ফেরত দিয়েছে সে দেশের কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সমুদ্রসীমার শূন্য রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে এসব জেলেদের হস্তান্তর করা হয়।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের (ঢাকা) মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমা থেকে ভেসে ভারতের জলসীমায় চলে যায় ভোলার ফিশিং ট্রলার এফবি জেসমিন। ভারতীয় জলসীমায় ওই ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর জেলেরা ড্রাম ও ভাসমান বস্তু ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকেন।
সমুদ্রে ভাসতে থাকার ২৪ ঘণ্টার মাথায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের একটি টহল বিমান ওই জেলেদেরকে দেখতে পায়। এরপর বিমান থেকে সমুদ্রে ভাসমান জেলেদের জন্য লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়। লাইফ র্যাফটের সাহায্যে ভাসতে থাকার পর ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ বিজয়া মঙ্গলবার রাতে জেলেদের উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে তারা।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে মোংলা কোস্টগার্ডের (পশ্চিম জোন) একটি হাই স্পিডবোটে উদ্ধারকৃতদের মোংলায় নেয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাদের পরিবার ও মহাজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার এম মহিউদ্দিন, চিফ স্টাফ অফিসার লে. কমান্ডার আশিক আহমেদ সিদ্দিক ও মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, এসব জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনের বিভিন্ন এলাকায়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার ও পোশাকাদি দিয়ে স্বজন ও মহাজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।