কুড়িগ্রামের যে ৯টা উপজেলা রয়েছে তার মধ্যে জেলা সদর থেকে বিছিন্ন রাজিবপুর উপজেলা। এই উপজেলাটি ব্রহ্মপুত্র সোনাভরি ও জিঞ্জিরাম নদ-নদী দ্বারা বিভক্ত। তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজিবপুর উপজেলা; রাজীবপুর সদর, কোদালকাটি ও মোহনগঞ্জ। উপজেলা সদর থেকে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে যোগাযোগের সংযোগ সড়ক থাকলেও কোদালকাটি ইউনিয়ন পুরোটাই সোনাভরি নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন।
ব্রিজ না থাকায় রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড হতে কোদালকাটি ইউনিয়নে পারাপারের জন্য রয়েছে একটি খেয়াঘাট, যা খাজার ঘাট নামে পরিচিত। সেখানে একটি মাত্র নৌকা দিয়েই চলছে পারাপার। মাত্র ৭০ মিটার প্রস্থের সোনাভরি নদীটি এই এলাকার মানুষের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারাপার হয়ে পড়েছে কষ্টসাধ্য, ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনটি ইউনিয়নবাসী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও।
জানা যায়, কোদালকাটি ইউনিয়নে দুলাল মোড়, বদরপুর, পাখিউড়া, জাফর মোড়, চরসাজাই, আনন্দ বাজার, হাতিমারাসহ ছোট বড় প্রায় ২৫টি গ্রাম রয়েছে। রয়েছে ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল মাদরাসা, ৪টি ইবতেদায়ি মাদরাসা, কয়েকটি হাফিজিয়া মাদরাসা। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ ২৫টি গ্রামের একমাত্র ভরসা হচ্ছে খাজার ঘাটের একটি মাত্র নৌকা।
চরে উৎপাদিত ধান, পাট, গম, ভুট্টা, বাদাম, ইত্যাদি শস্য বিক্রির জন্য যেতে হয় সোনাভরি নদী ওপর দিয়ে। একটি ব্রিজের অভাবে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। র্দীঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিলেও কোনো সুফল পাননি ভুক্তভোগীরা। এই নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে দুর্ভোগ কমবে, আবার অর্থনীতিতে গতি আসবে।
কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু বলেন, ‘আমরা কোদালকাটিবাসী ব্রিজ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। কয়েক বছর ধরে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েই যাচ্ছি। কোনো সুফল পাচ্ছি না। আবারো দাবি জানাচ্ছি দ্রুত যেন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ‘
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি যাতে এলাকাটি পরিদর্শন করে ব্রিজ নির্মাণের একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ‘