পদ্মা সেতুর উপপ্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামান বহুদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছেন। চিকিৎসক বলেছেন কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু প্রতিস্থাপনের অপারেশনে লম্বা ছুটি নিলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যাঘাত ঘটবে- এ কারণে ছুটি নেননি কামরুজ্জামান।
শনিবার পদ্মার সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রকল্পের কর্মকর্তাদের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। সেখানেই আসে কামরুজ্জামানের নাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বে আসার আগে সেতু সচিব হিসেবে প্রায় টানা আট বছর পদ্মা সেতুর নির্মাণের তদারকিতে ছিলেন খন্দকার আনোয়ার।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উপপ্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামান প্রায় এক বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে কাজ ফেলে তিনি কোনোমতেই যেতে চাননি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর কামরুজ্জামান সমকালকে জানান, দুই বছর ধরে কিডনি ডায়ালাইসি করছেন। লম্বা ছুটি নিতে হবে বলে অপারেশন করাননি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়ে গেছে, এবার ছুটির দরখাস্ত করবেন।
কামরুজ্জামান আরও জানান, কিডনি দাতা পেয়েছেন। তার ভাতিজা কিডনি দেবে। আত্মীয়ের অঙ্গ নিতে আইনে কিছুা বাধা রয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন করবেন, যাতে ভাতিজা কিডনি দিতে পারেন। তারপর বাংলাদেশ কিডনি ইনস্টিটিউটে অপারেশনের জন্য তারিখ নেবেন।বিদেশে যাবেন না জানিয়ে কামরুজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘আমি ওই ধরনের লোকই না। বিদেশ যাব না। বাঁচি-মরি দেশেই চিকিৎসা করাব। এই দেশে জন্ম নিয়েছি। মরলে এখানেই মরব।’