লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এ বছরও উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন হেমা মালিনী। ২০১৪ সালে রাজনীতির আঙিনায় পা দেন অভিনেত্রী। সেই সময় থেকেই তিনি মথুরার সাংসদ। এই নিয়ে তৃতীয় বার ভোটে দাঁড়ালেন হেমা। ইতিমধ্যেই দুই মেয়ে এষা দেওল ও অহনা দেওল পৌঁছে গিয়েছেন মথুরায়। সেখানে থেকে মায়ের হয়ে প্রচার করছেন দুই বোন। সাংসদ হিসেবে নিজের একটা পোক্ত জায়গা রয়েছে হেমার। তবে তিনি রাজনীতিতে আসুন, মোটেই চাননি স্বামী ধর্মেন্দ্র। বার বার বারণ করেন, তবু শোনেননি হেমা।
আসলে, ২০০৪ সালে ধর্মেন্দ্র নিজে বিজেপির হয়ে সাংসদ পদ জেতেন রাজস্থানের বিকানের কেন্দ্র থেকে। পাঁচ বছর সাংসদ থাকলেও প্রায়ই তাঁকে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি লোকসভার অধিবেশনগুলিতে যোগ দিতেন না। তাই যখন শোনেন, হেমা রাজনীতিতে যোগ দেবেন, আপত্তি জানান অভিনেতা। তবে হেমার কথায়, “ধরমজি ভীষণ আপত্তি জানিয়েছিলেন। ভোটের রাজনীতিতে পা দিতে মানা করেছিলেন। তিনি নিজে ভুক্তভোগী। জানি, কাজটা সোজা নয়। তবে আমি চ্যালেঞ্জটা নিয়েই ফেলেছিলাম।’’ তবে হেমা এ-ও জানান, রাজনীতির মতো একটা কঠিন বিষয়ে তাঁকে সাহায্য করেন বিনোদ খন্না। অভিনেত্রী জানান, হাজার লোকের সামনে ভাষণ দেওয়া, তাঁদে কে বোঝানো— সবটাই ওঁর কাছ থেকেই শিখেছেন। তবে একা হেমা নন, দেওল পরিবারের বড় ছেলে সানিও সাংসদ ছিলেন গুরুদাসপুরের। যদিও ২০২৪-এ নির্বাচনে দাঁড়াবেন না, এ কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।