চার অশুভ শক্তির খপ্পরে বাংলাদেশ এর শেষ কোথায়? এমন্তব্য আমার নয় একজন বিদেশীর। এই বিদেশীর নাম মিঃ মাইকেল কাট তিনি সুইজারল্যান্ডের নাগরিক হলেও বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং রাজনীতি সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন।
একসময় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা অক্সফামের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করেছেন, দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে অবস্থান করার কারণে ভাল বাংলাও জানেন। এই বিদেশী বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে বেড়াতে এসছিলেন, পূর্ব পরিচয় সূত্রে আমার সাথে সাক্ষাৎ হয় কথা হয় বিভিন্ন বিষয়ে। একান্ত আলোচনায় উঠে আসে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ, নভেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখল ও শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ, সেনাবাহিনীর ভুমিকা, গোয়ন্দা দুর্বলতা, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ, বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান ও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর গোপন তৎপরতা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি যে চারটি অশুভ শক্তির বর্ণনা করেছেন তা তুলে ধরা হলো।
আমেরিকান ডিপষ্টেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ভেতরের আরেকটি সরকার
রিপাব্লিকান কিংবা ডেমক্রেট কে ক্ষমতায় আসল বা গেল সেটি বড় কথা নয়। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এবং আমেরিকানদের প্রতিপক্ষ রাশিয়া, চায়না ও কোরিয়ার আধিপত্যকে ঠেকাতে কোথায় কোন কাজ করতে হবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকান ডিপষ্টেট।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত, ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের কোথায় কি করতে হবে এসব নিয়ে কাজ করে এই সংস্থাটি। বাংলাদেশে এখন যে গেইম চলছে এতে আমেরিকান ডিপষ্টেট এর মূখ্য ভুমিকা রয়েছে। আমেরিকানরা যেমন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলনা ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ড, এরশাদ সরকারের পতন এবং ড. ইউনুসের ক্ষমতায় আরোহন সব কিছুতে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশে ইউনূসের শাসনামলে চাইলেই সব পাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক
এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বিরোধীদের দমন পীড়নসহ অনেকটা স্বৈরচারী হয়ে উঠেন। আমেরিকানদের উপেক্ষা করে চীন ঘনিষ্টতা, সরকারের সাথে ইউনুসের দ্বন্দ, জঙ্গিদের ক্ষোভ, জামাতিদের একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ, আমেরিকান স্বার্থকে উপেক্ষা করা, প্রকাশ্যে আমেরিকানদের বিরোধিতা করা। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে ডিপষ্টেট শেখ হাসিনাকে উৎখাতের সিদ্ধান্ত নেয়। বেছে নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনুস, বদিউল আলম মজুমদার সহ মানবাধিকার সংগঠন অধিকার, বেলার মুখপাত্র সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান সহ সুশিল পরিচয়ধারী অনেককে।
সব চেয়ে বড় কথা দক্ষিন এশিয়ায় চীনের আধিপত্য রুখতে বাংলাদেশে আমেরিকান ঘাটি লাগবেই।
হাসিনা কিন্তু বিরোধীমত দমনে স্বৈচারী হয়ে উঠলেও বিদেশীদের হাতে দেশের একইঞ্চি মাটি ছাড়তে নারাজ। বার বার আমেরিকানদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করা, প্রকাশ্যে আমেরিকান স্বার্থের বিরোদ্ধে কথা বলা এসব বিষয়গুলো মাথায় রেখে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে ইনভেষ্ট করে পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলার। ড. ইউনুসকে বেছে নেয় তারা। ড. ইউনুসের সাথে পদ্মা সেতু, গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হলে সর্ব মহলে গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে ইউনুসের ঘনিষ্ট বন্ধু আমেরিকান সাবেক পরাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি কিংটনের মাধ্যমে ইউনুসকে কাজে লাগায় তারা।
কয়েক বছর আগ থেকে বাংলাদেশে সরকার বিরোধীদের উসকে দিতে ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে ঢাকায় কাজ করেছেন সাবেক দুই আমেরিকান রাষ্ট্রদূত, মার্শা বার্নিকাট ও ডেম মজিনা, তারা সফল হয়েছেন।
আমেরিকানদের বিরোধীতা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার গাদ্দাফী, সিরিয়ার বশর আল আসাদ, পাকিস্তানের ইমরান খান, পারেননি হাসিনাও। আজকের ইরাক-পাকিস্তান-সিরিয়া-লিবিয়া কিংবা ইউক্রেনের দিকে থাকালেই বূঝা যায় কিহচ্ছে এসব দেশগুলোতে আমাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
স্বাধীনতা বিরোধী জামাতে ইসলামী‘র একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধঃ
স্বাধীনতা বিরোধী এই দলটিই একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া। ১৯৭১ সালে এই দলটি প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। দেশস্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। ১৯৭৫সালে আমেরিকান ষঢ়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষতায় আসীন হন মীর জাফর খ্যাত খন্দকার মোস্তাক আহমদ। মোস্তাককে সরিয়ে কৌশলে ক্ষমতা গ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করে দেন। অনেকের মতে এটি ছিল তার রাজনৈতিক কৌশল। এই সুযোগে জামাতে ইসলাম আবার রাজনীতি করার সুযোগ পায়। জিয়াউর রহমান হত্যার পেছেনেও রয়েছে আমেরিকান ডিপষ্টেটের ভুমিকা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামীলীগকে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এই সুযোগে এই জামাতিরা আওয়ামীলীগের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পায়, নিজদের দলগুছাতে শুরু করে। কখনো আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতা আবার কখনো বিএনপির সাথে রাজনৈতিক জোট। এর ভেতর তারা অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠে। জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার কাঁধে ভর করে তারা শক্তিশালী হয়ে উঠে। চারদলীয় জোটে থেকে মন্ত্রীত্ব লাভ করে দুই যুদ্ধাপরাধী, জোটে থাকাকালীন সময় জামাতিরা বেগম খালেদা জিয়ার চোঁখে ধুলো দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে অত্যন্ত সুকৌশলে জঙ্গিদের সহায়তা করতে থাকে, ঘটায় ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার মতো জঘন্য ঘটনা।
বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা ধরে রাখতে এদের অনেকটা ছাড় দিতে বাধ্য হন। আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির অভ্যন্তরে থেকে জামাতিরা অত্যন্ত সুকৌশলে উভয় দলের মাঝে রাজনৈতিক বিভেদ তৈরীতে সফলতা লাভ করে, এরাই অত্যন্ত সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করতে এমন সব কাজ করে যাতে উভয় দলের মাঝে সাপে নেউলে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। তারা সফলও হয়।
অন্যদিকে বাম রাজনীতিকদের একটি অংশ এবং সুবিধাবাদিরা আওয়ামীলগের সাথে জোটে গিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করে বিএনপিই শেখ মুজিব হত্যার সাথে জড়িত এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় উভয় দল বারটা বাজে দেশের।
শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করলে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ নিয়ে জামাতের সাথে আন্দোলনে না গিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে। তখন জামাতিরা বুঝতে পারে ক্ষমতায় যেতে হলে আওয়ামীলীগ বিএনপি কেউই তাদের আপন নয়। অন্য পথ অবলম্বন করতে হবে।
আর ভবিষ্যৎ ক্ষমতা লাভের আশায় কাজ শুরু করে, এর ভেতর জামাতিরা দেশের ব্যাংক বীমা সহ অসংখ্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আধিপত্য বিস্তার করে। ভেতরে ভেতরে অন্যান্য ইসলামপন্থি দল গুলোর সাথে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলে। এইসব ইসলামী দলগুলোর সকলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। আকিদাগত ভাবে জামাতের সাথে অন্যান্য ইসলামিষ্টদের মত পার্তক্য থাকলেও এক জায়গায় তাদের মিল রয়েছে, সকলেই মধ্যপন্থা এবং স্যাকুলারিজমের বিরোধী।
হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের সময় থেকে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশে তাদের মিশন শুরু করে। বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রসায় পড়তে যাওয়া কৌমিমাদ্রসার কয়েক হাজার ছাত্র প্রকাশ্যে আফগানিস্থানে গিয়ে তালেবান বাহিনীতে যোগ দেয়। দেশে ফিরে এরাই বাংলাদেশে গড়ে তোলে ডজন খানেক জঙ্গি সংগঠন। এরা স্বপ্ন দেখতে থাকে আফগান মডেলের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। এদের জামাতিরা সবধনের সহযোগীতা করতে থাকে কিন্তু সকল দোষ বর্তায় বিএনপির উপর। কেননা তখন জামাত জোট সরকারের অংশিদার।
এরা রাজপথে শ্লোগান দেয় আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান।
বিএনপি সরকারের ভেতরে থেকে জামাতিদের পৃষ্টপোষকতায় আফগান ফেরত তালেবানদের নিয়ে বাংলাদেশে গজিয়ে উঠে জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আনসার উল্লা বাংলা টিম, হিযবুত তাহরির, সহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন। পরবর্তিতে এই জঙ্গিরাই গঠন করে অরেকটি অরাজনৈতিক প্লাটফরম হেফাজতে ইসলাম। এই জঙ্গিদের নিয়ে বিপদ এবং দুর্নাম সইতে হয় বিএনপিকে। যদিও বিএনপি জঙ্গিবাদের পক্ষে নয় তার পরেও দলটি প্রকাশ্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়।
অন্যদিকে বিএনপির প্রতি আক্রোশ মেটাতে বিএনপিকে জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক তকমা দেয় আওয়মীসহ বামরা। বিগত হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি যখন রাস্তায় নামতে গেছে তখনই এই জামাতিরা অত্যন্ত সুকৌশলে বিএনপির পরিচয়ে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে আওয়ামীলীগ বিএনপি সম্পর্ক একবারে শেষ করে দিযেছে। অন্য দিকে জামাতের বড় একটি অংশ নিজদের আওয়ামীলগের ছাত্র সংগঠনে প্রবেশ করে অত্যন্ত সুকৌশলে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে। আওয়ামীলীগের ভেতর তারা এমন ভাবে ঘাটি গেড়ে বসেছিল প্রকৃত আওয়ামীলীগার এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা হয়ে পড়ে কোণঠাশা। শেখ হাসিনার পতনের পর জামাতের আসল চেহারা সকলের কাছে পরিস্কার হতে শুরু করেছে।
শেখ হাসিনাও ক্ষমতায় টিকে থাকতে এমন সব পদক্ষেপ গ্রহন করেন, অনেকেই তার এসব কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে নীরবে দূরে সরে যান।
ইউনুস এবং সুসিলদের দিয়ে সরকার পতনের পথ প্রশস্থ করে ডিপষ্টেট। ইউনুসের সাথে গোপন কয়েক দফা বৈঠক হয় জামাত এবং জঙ্গিদের। তারা বৈশম্য বিরোধী আন্দোলনের নামে আন্দোলন শুরু করলে, বিএনপি সহ দেশের প্রতিটি আওয়ামী বিরোধী জোট আন্দেলনে যোগ দেয়। ইউনুসের সাথে জামাত জঙ্গিদের চুক্তি হয় তারা ঐক্যের সরকার গঠন করবেন। প্রয়োজনে অন্তবর্তি সরকারের ছত্র ছায়ায় তাদের মিশন বাস্তবায়ন করবেন। চু্ক্তি মাফিক জঙ্গিদের মুক্তকরে দেয়া হয়। জামাতে ইসলাম প্রকাশ্যে মাথা উঁচিয়ে দাড়ানোর সুযোগ লাভ করে। সেনা বাহিনী তাদের সমর্থন করে ।
জামাত সহ তাদের তিনটি নিবন্ধিত দল রয়েছে, জামাতে ইসলামী, এটি পার্টি ও খেলাফত মজলিশ (আহমেদ আব্দুল কাদের) এখন তাদের সাথে নতুন যোগ হচ্ছে ইউনুসের নতুন পার্টি এনসিপি। এই এনসিপির সকলেই ছাত্রলীগ পরিচয়ে রাজনীতি করলেও এখন বেরিয়ে আসছে তাদের আসল চেহারা। চুক্তি মাফিক জঙ্গি দলগুলা এবং জামাতের চারটি দল এবং চমোনাইর পীরের দল মিলে তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইছে। এতে আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপি। যেহেতু দেরীতে হলেও বিএনপি বুঝতে পারছে এরা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলবে। ইতমধ্যেই জামাতে ইসলামী বেশ কয়েকটি কাজে সফল হয়েছে। ৩২ নম্বর ভাঙ্গা থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা। এখন আওয়মীলীগ সহ অন্যান্য দলগুলোকে চিরতরে নিঃচিহ্ন করতে পারলেই হয়। বিএনপি এমনেতেই শেষ হয়ে যাবে।
আমরা আরো লক্ষ্য করেছি সরকার পতনের সাথে সাথেই নাম মুছে ফেলার পায়তারা। প্রকাশ্যেই আইএসএর পতাকা হাতে জঙ্গিরা শ্লোগান দিয়েছে ‘’ দুই সাপের একই বিষ বিএনপি আওয়ামীলীগ।’’ এখন আবার প্রতিদিন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিছিল হয়। মব চাঁদাবাজি এবং দখলদারিত্বের সাথে যারা জড়িত সকলেই জামাতের অনুসারি এরা ছদ্মাবরনে বিএনপির ভেতর প্রবেশ করে এসব ঘটাচ্ছে, যাতে দুর্নাম হয় বিএনপির।
ইতমধ্যেই বিচার বিভাগ সহ সকল সেক্টরে টেন্ডার ছাড়াই চলছে জামিতিদের নিয়োগ। পুলিশ হত্যার বিচার হবেনা বলে ইনডেমনিটি জারি করেছে সরকার। জামাতের আরেকটি পরিকল্পনা রয়েছে যার কাজ চলছে খুবই সতর্কতার সাথে। আওয়ামী বিএনপি আমলে সকল সেক্টরে নিয়োগ পাওয়াদের চাকুরী থেকে বিতারিত। ইলেকশন বিলম্বিত করে এসব জায়গা খালি করা হবে অচিরেই। তখন বিএনপিও নিষিদ্ধ হতে পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করেছেন সেনা প্রধান নিজেই। এই চার রাহুগ্রাস থেকে কবে মুক্তিপাবে বাংলাদেশ, তা খোদই জানেন। এঅবস্থা আরো কয়েক মাস চলতে থাকলে গৃহযুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।








