হেমন্ত এসেছে
সুধীর বরণ মাঝি
ধানের মাঠে সোনার ঢেউ, রোদের হাসি ঝরে,
হেমন্ত এল কুয়াশা নিয়ে ভোরের পথের তরে।
কৃষক কাটে ধান, গুনগুন করে গান,
মাটির ঘ্রাণে ভরে যায় তার হাসিমুখের প্রাণ।
শিশিরভেজা ঘাসের গন্ধ, রোদের নরম ছোঁয়া,
আকাশ জুড়ে নীলের রঙে পাখি উড়ে যায় সোয়া।
ধানের গোলায় ফসল ভরে, খুশি থাকে গ্রাম,
হেমন্ত মানে আনন্দ মেলা, খেলার নতুন নাম!
শ্রমের ঘ্রাণে ভরে মন, প্রীতির সুর বাঁধাও
হেমন্ত আসে নিঃশব্দে,শস্যভরা উঠোনে।
পাতার গায়ে আগুনের ছোঁয়া, মাটির হৃদস্পন্দন,
দিগন্তজোড়া নীরব সুরে হেমন্ত মধুর বলে
হেমন্ত বলে—“এসো সবাই, সুখের গান গাই !
ঘামের ধারা মিশে যাক প্রীতির আলোছায়।
সোনার ধানে সূর্য হাসে, পাখি গায় গান
হেমন্ত মানে আলোর মেলা, জীবনের উল্লাস।
দেশ
সুধীর বরণ মাঝি
এই মাটির গন্ধে আমার শেকড়,
এই নদীর স্রোতে বয়ে চলে প্রাণ।
এই আকাশে ঝরে আমার স্বপ্ন,
এই সূর্যের আলোয় জ্বলে আহ্বান।
রোদে পোড়া মুখে শ্রমের রেখা,
সেই মুখেই দেখি স্বপ্নের দেশ।
ক্ষেতের সবুজে জীবন গাঁথা,
প্রাণে বাজে স্বাধীনতার রেশ।
দেশ মানে শুধু মানচিত্র নয়,
দেশ মানে রক্তে আঁকা গান।
দেশ মানে মায়ের মুখের হাসি,
দেশ মানে বুকভরা আহ্লাদ-প্রাণ।
যে ভালোবাসে মাটিকে নীরবে,
সে-ই তো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।
দেশ তার নয়, যে শুধু বলে—
দেশ তার, যে রাখে ত্যাগে অম্লান চিত্রিক।








